রকিবুল ইসলাম রুবেল, লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ লালমনিরহাট রেল প্রকৌশল বিভাগে ৮৪ জন TLR নিয়োগে প্রায় ৩ কোটি টাকা দূর্নীতির অভিযোগে AEN সাইদুর রহমান খন্দকারের বিরুদ্ধে একটি খবর প্রকাশ পায়, সেই নিউজের সুত্র ধরে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়।
নিউজের কারনে লালমনিরহাট রেল বিভাগ অভিযুক্ত সহকারী প্রকৌশলী সাইদুর রহমান খন্দকারকে সৈয়দপুর বদলী (স্ট্যান্ড রিলিজ) করেছে ।
অনুসন্ধানে যানা যায়, প্রায় ১ মাস আগে লালমনিরহাট রেল প্রকৌশল বিভাগে TLR পদে ৮৪ জন নিয়োগের সুপারিশ করে কাগজ পাঠায় উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের কাছে । সেই নিয়োগ সরকারী নিয়ম অনুযায়ী আগের যারা এই দফটির TLR (মাষ্টার রোল) কর্মরত ছিল তাদের পাওয়ার কথা থাকলেও তা না করে সরকারি আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে ৫ টি উপজেলায় দালালের মাধ্যমে মোটা অংকের ঘুষের বিনিময়ে নতুন করে ৮৪ জনের নামের তালিকা তৈরি করে TLR পদে নিয়োগ দিয়েছেন দফতরটির উপ প্রকৌশলী সাইদুর রহমান খন্দকার।
আর শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে নতুন মাষ্টার রোল লিষ্টে নামের নামের পাশে লিখে দিয়েছেন কাগজ উই পুকায় কেটেছে।
এই ঘটনা প্রকাশ হওয়ার পর টক অব দা টাউনে পরিনত হয়েছে। লালমনিরহাটে নিয়োগ বানিজ্যে এর আগে এত টাকার কোন ঘটনা প্রকাশ পায়নি তাই সর্বত্রই আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে মাষ্টার রোলে TLR পদে কর্মরত একাধিক কর্মী জানান, AEN সাইদুর রহমান খন্দকার আমাদের পেটে লাথি মেরে নতুনদের নিয়োগ দিয়ে প্রায় ৩ কোটি টাকা লুটে নিয়েছে। আমাদের অধিকার আমরা ফিরে চাই। আমরা প্রশাসনের কাছে এই ঘটনার বিচার চাই।
বাংলাদেশ রেল পোষ্য সোসাইটির লালমনিরহাট জেলা মুখপাত্র মনিরুজ্জামান জানান, আমরা এ বিষয়ে মামলা প্রস্তুতি নিচ্ছি।
এ বিষয়ে (AEN) সহকারী প্রকৌশলী সাইদুর খন্দকারকে TLR পদে টাকা নিয়ে পুরাতণদের বঞ্চিত করে নতুনদের নিয়োগের কারন জানতে চাইলে তিনি এই প্রতিনিধিকে ম্যানেজের চেষ্টা করেন এবং নিউজ করতে নিষেধ করেন।
লালমনিরহাট রেল ডিভিশনের প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন এই ঘটনার বিষয়ে তার অফিসে একাধিক বার গিয়েও তার সাথে দেখা করা যায়নি এমনকি তার সরকারি মোবাইল নাম্বারে অনেক বার ফোন দিলেও তিনি তা রিসিভ করেন নি। তাই তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।