যোগান ঘাটতি প্রচ্ছেদ, খুনসং
ঃউপায়ন আনাম
ফুঁকতে ফুঁকতে বিড়িটা এক সময় শেষ হয়ে যায়
মুখে খিস্তি এনে ছুড়ে ফেলে মন্টু, ধুরবাল বিড়িতেও ভিটামিন নেই
সব নষ্ট হয়ে গেছে, মুখের স্বাদ মনের আহল্লাদ কথার ফুলঝুরি
একদিন ছিল, ঘরের বউটারে মনে হতো স্বর্গীয় অপ্সরা, কতকি।
হাড়খাটুনিতেও সংসার চলে না, অভাবটা যেন চরিত্রহীন বখাটে ছাত্র
দুপুরের রোদটাও গায়ে লাগছে ইদানিং, ছেলেটার মুখ দেখলে আর লাগে না
এককেজি জিলাপি বিশ হাজার, মানুষতো কিনছে লাইনে দাড়িয়ে
রেশনের চালের লাইনে কাকফাঁটা রোদ, চাহিদার নুনভাত ইদানিং গায়ে লাগে।
স্বপ্নের মধ্যে স্বপ্নভুক চাঁনচিকে উড়ে, কেঁটে দিছে স্বপ্নের সুতো
এখন স্বপ্ন শেষ নিঃশ্বাস স্বদেশের মাটিতে, তবুও শঙ্কা সুতোরের ভিটে
বিদেশে ঘাম বেচে রশিদের ছেলে, কাজীর ছেলের বাড়ি বেগমপাড়া
ঘরে ফিরলেই নেই, বাজার দরে যোগানে ঘাটতি কুঁজো মেরুদন্ডের প্রেম তবু রসদে।