শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১০:০৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
ঝিনাইদহে কোটা সংস্কারকারিদের সাথে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া,গুলি বর্ষণ, পুলিশসহ আহত-৪০, আটক-২ সারা দেশে নিহতের সংখ্যা ১৩ স্বাচিপ ঝিনাইদহ জেলা শাখার সভাপতি ডাঃ মামুন, সম্পাদক ডাঃ কাওসার শিবির কর্মী-ছাত্রদল এবং বহিরাগতরা ঢাবির হলে তাণ্ডব চালিয়েছে-মোজাম্মেল হক সারা বাংলা র ৮৮ এর চতুর্থ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীপালন সারা বাংলা’র ৮৮ মাদারীপুর জেলা প্যানেলের উদ্যোগে চতুর্থ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীপালন ঝিনাইদহে কোটা বিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের উপর ছাত্রলীগের হামলা, আহত-২০ রংপুরে পুলিশের গুলিতে কোটা আন্দোলনকারী আবু সাঈদ নিহত চীন-রাশিয়া সামরিক মহড়া ছাত্র নিহতের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দাবি অসত্য: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
নোটিশ
যে সব জেলা, উপজেলায় প্রতিনিধি নেই সেখানে প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। বায়োডাটা সহ নিউজ পাঠান। Email: newssonarbangla@gmail.com

মোক একনা ঘর দেন ! আকুতি সোনাবি বেগমের ! 

রকিবুল ইসলাম রুবেল, লালমনিরহাট
Update : শুক্রবার, ৯ এপ্রিল, ২০২১, ৪:৪৪ অপরাহ্ন

রকিবুল ইসলাম রুবেল, লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটে হামার ‘মোর তিন শতক ভুই (জমি) আছে তা খাস। ভালো একনা ঘর নাই। একনা ভাঙা ঘর। কোন রকম পলি দিয়ে তো ও গাত (গায়ে পানি পড়ে) ও কনা ঘরতে চার কোনা ছেলে (মেয়ে) নিয়া থাকোং (থাকি)’ কত মানুষ ঘর পায় মুই না পাং এভাবেই কথা গুলো বলেন সোনাবি বেগম।
আইতে (রাতে) ঘুমির পাং না, ঝড়িতে (বৃষ্টিতে) দিনোত (দিনে) তো ভাল থাকোং(থাকি) আর আইতে(রাতে) ঘর দিয়ে পানি পড়ে। ফাকা জাগা (ফাঁকা-জায়গা) বাতাস ঢোকে ঘরের ভেতরোত। বেটা কোনা ১২ বছর হয় প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ডও পাং নাই কাও করি ও দেয় না।
 মুই তো মোর কষ্টের কতা (কথা) চেয়ারম্যান-মেম্বারের কতবার কছুং ৷ কাও মোর বেটা টার (ছেলেটার) ভাতা করে দেয় নাই৷ সরকার থেকে যদি একনা ঘর পানুং হয় তাইলে বাকি জীবনটা ভালো করে কাটনুং (কাটিল) হয়’।
এভাবেই নিজের কষ্টের কথাগুলো বলছিলেন লালমনিরহাটের কালীগঞ্জের ৩নং তুষভান্ডার ইউনিয়নের ১নং কাশীরাম মুন্সীর বাজার এলাকার আব্দুল জলিলের স্ত্রী সোনাবি বেগম (৫০)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দশ বছর ধরে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তিনি। তিন বছর ধরে স্বামী অচল এখন পর্যন্ত ভাগ্যে জোটেনি তার ছেলের প্রতিবন্ধী ভাতা, ভিজিডি কার্ড কিংবা মাথা গোঁজার মতো একটা সরকারি ঘর। এমন কি সরকারি কাজের বিনিময় খাদ্য কর্মসূচিতে নাই তার নাম।
 সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কয়েকটি টিন দিয়ে তৈরি একটি টিনের ঘরে বৃষ্টিতে তিন ছেলে মেয়ে কে নিয়ে কোনোমতে কষ্টে বসবাস করছেন সোনাবি বেগম। অভাবের তাড়নায় দুই মেয়েকে অন্য বাড়িতে রেখে ঝিয়ের কাজ করতে হচ্ছে। আর এক ছেলে চায়ের দোকানে কাজ করে বউ নিয়ে চলছে তার সংসার আর এক ছেলে প্রতিবন্ধী। আর তার স্বামী একজন চানাচুর বিক্রিতা কিন্তু আজ একবছর ধরে করনার কারনে তার ও ব্যবসা চলে না আর।
সারাদিন পরিশ্রম করে রাতে একটু ভালোভাবে ঘুমাতেও পারেন না তারা। আর কয়েক দিনের বৃষ্টিতে ভিজে যায় বিছানাপত্র। তবুও বেঁচে থাকার তাগিদে জরাজীর্ণ ভাঙা টিনের চালায় রাতভর ছটফট করে অচল স্বামী সন্তানকে নিয়ে থাকতে হয় হচ্ছে সোনাবি বেগমকে।
 মুজিববর্ষে সরকারি একটি ঘর পাওয়ার আকুতি জানান সোনাবি বেগম।
এ বিষয়ে তুষভান্ডার ইউপি চেয়ারম্যান নুর ইসলাম জানান, এ অসহায় মহিলা সরকারি ঘর পাওয়ার যোগ্য বলেই মনে করি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Theme Created By Uttoron Host