ঝিনাইদহে মৃতব্যক্তিসহ ১১ জনের সহি জালিয়াতি, জোরপূর্বক সীমানা পিলার তুলে ফেলে জমি দখলের চেষ্টা এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মিথ্যা অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সদর উপজেলার ধানহাড়িয়া গ্রামের মৃত আফছার উদ্দিন খাঁ এর ছেলে মহিউদ্দিন খাঁসহ তার ১১ ভাই। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১ টায় ঝিনাইদহ প্রেসক্লাব মিলনাতনে এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মহিউদ্দিন খাঁ।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমার পিতার ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ১৬০ নং ধানহাড়িয়া মৌজায় আর এস চুড়ান্ত ৫২ নং খতিয়ানে ২৮৪ নং দাগে ৯৬ শতক জমি ছিল। তার মধ্যে তিনি আমার সৎ ভাই আবু বক্কর ও আব্দুল মতলেব খাঁ এর নামে ৭৯ শতক জমি দেন। বাকি ১৭ শতক জমি আমাদের ১১ ভাইয়ের নামে।
এরই মাঝে আমার সৎ ভাই আবু বক্কর ও আব্দুল মতলেব খাঁ একটি গ্যাস কোম্পানীর কাছে আমাদের না জানিয়ে আমাদের নিজ নামীয় জমি ব্যবহার করে এবং আমাদের সহি জাল করে বন্টনকৃত ক্ষতি পূরণের অর্থ হাতিয়ে নেয়।
তিনি আরও বলেন, ১৯৮৪ সালে আমার ভাই আব্দুল কুদ্দুস খাঁ মারা যায় এবং আমার মৃত ভাইয়ের নাম নকল সহি করে ২০১৪ সালে। বাকি আমাদের ১০ ভাইয়ের সহি নকল করে একই সালে টাকা উত্তোলন করে।
এ ঘটনা পরবর্তীতে অবগত হওয়ার পর উক্ত জালিয়াতির বিষয় আমরা সৎ ভাই আবু বক্কর ও আব্দুল মতলেব খাঁকে জানানোর পর তারা উক্ত বিষয়ে কোন কর্নপাত করে না। পরে এ ঘটনায় ঝিনাইদহের বিজ্ঞ আদালতে একটি মামলা দায়ের করি। যার মামলা নং-৩০৩/২০।
মামলার সমন জারির হওয়ার পর স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে আপোষ নামায় আমার সৎ ভাই আবু বক্কর ও আব্দুল মতলেব খাঁকে ৭৯ শতক জমি বুঝিয়ে দিয়ে বাকি ১৭ শতক জমিতে পিলার পুতে দেওয়া হয়। কিন্তু এরই মাঝে চলতি বছরের ২৩ জুন তারিখে বেলা অনুমান বেলা ১১ টায় আমাদের মিমাংসাকৃত ১৭ শতক জমির পিলার জোরপূর্বক উপড়ে নিয়ে যায়। বিষয়টি জানার পর এ ঘটনায় আমার ভাই খাইরুল ইসলাম বাদি হয়ে ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।
এছাড়াও আমরা জানতে পারি, আমাদের খাঁ গোষ্টির সম্মানীত লোকদের নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেসবুক) এ অশ্লীল ভাষায় মিথ্যা অপপ্রচার করে। আমার সৎ ভাই আব্দুল মতলেব, শের আলী খাঁ এবং মুরাদ আলী খাঁর ছেলে দেলোয়ার হোসেন দুলু, কামাল খাঁ ওরফে ফিটু, বিপুল খাঁ এবং তাদের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী প্রকৃতির বেশ কয়েকজন ব্যক্তি দিয়ে সমাজে আমাদেরকে হেয় প্রতিপন্ন করে। এবং মারপিট করার বিভিন্ন হুমকি ধামকি দিচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভুক্তভোগি পরিবারটি।