মাদারীপুর বিআরটিএ সূত্রে জানা যায়, মাদারীপুর থেকে ঢাকার দূরত্ব ১১১ কিলোমিটার। সরকার নির্ধারিত ভাড়া অনুযায়ী কিলোমিটার প্রতি ২ টাকা ১৫ পয়সা। বাসে ৫২ সিটের স্থানে যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দের কথা বিবেচনা করে তৈরি করা হয়েছে ৪০ সিটের বাস। ৪০ সিটের বিবেচনা করলে এতে ভাড়া দাঁড়ায় ৩০৪ টাকা ২৭ পয়সা।
তবে পদ্মা সেতুর টোল নেয়া হচ্ছে দুই হাজার ৪৯৫ টাকা। সেক্ষেত্রে ৪০ জন যাত্রীর ৭০ শতাংশ ধরে জনপ্রতি শুধু টোল দাঁড়ায় ৮৯ টাকা ১০ পয়সা। এতে যাত্রীপ্রতি সবমিলিয়ে ভাড়া হয় ৩৯৩ টাকা ৩৭ পয়সা। ছয় টাকা ৬৩ পয়সা বৃদ্ধি করে ভাড়া ৪০০ টাকা নেয়া হচ্ছে।
ভাড়া বৃদ্ধির ব্যাপারে সড়ক পরিবহন বাস মালিক সমিতির সভাপতি খন্দকার কামরুল হাসান তুষু বলেন, ‘আমরা সরকার নির্ধারিত ভাড়া নিচ্ছি। অনেকে এ সম্পর্কে না বুঝে জনগণকে ভুলপথে পরিচালিত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা অবৈধভাবে ভাড়া আদায় করলে রাস্তায় ট্রাফিক রয়েছেন তারাই আমাদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানা করতেন।’
এ বিষয়ে কথা হয় বিআরটিএ মাদারীপুর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. নূরুল হোসেনের সাথে। তিনি বলেন, ‘এই ভাড়া আমাদের হেডকোয়ার্টার থেকে নির্ধারণ করা হয়েছে। সরকার নির্ধারিত ভাড়া অনুযায়ী এই রুটের ভাড়া ৩৯৩ টাকা আসে। এখানে সরকার নির্ধারিত ভাড়া অনুযায়ীই নেওয়া হচ্ছে।’
মাদারীপুরের পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, ‘জেলা পর্যায়ের বাস ভাড়া নির্ধারণ কমিটির আমি একজন সদস্য। ভাড়া বৃদ্ধির আগে এই বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল বলে আমার জানা নেই। তবে আমরা শুনতে পেয়েছি কয়েকদিন ধরে হঠাৎ করে ১০০ টাকা ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছে। আমরা বিষয়টি খোঁজখবর নিচ্ছি। তাছাড়া বিআরটিএ কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসকের সাথে এ বিষয়ে কথা হয়েছে, তারাও বিষয়টি দেখছেন।’
সুজন হোসেন রিফাত