মাদারীপুর থেকে কাওসার আলম মিঠুঃ মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলার একমাত্র সরকারী কলেজ রাজৈর ডিগ্রি কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক শাখাওয়াত হোসেন এবং সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মোঃ হায়দার আলী এবং এমএলএসএস মোঃ সাইদুর রহমান খানকে মিথ্যা হত্যা মামলায় জড়ানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। উক্ত সাংবাদিক সম্মেলনে বাংলা বিভাগের প্রভাষক মোঃ শাখওয়াত হোসেন এক লিখিত বক্তব্যে জানান তার কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ দূর্নীতিবাজ শিক্ষক মরিয়ম মুজাহিদার স্বামী আলোচিত বিতর্কিত উকিল মোঃ আনোয়ার হোসেন আরমিন মোল্লা কর্তৃক এ মিথ্যা হত্যা মামলা দায়েরের প্রতিবাদে মাদারীপুর জেলার শিক্ষক সমাজ তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জ্ঞাপন করেছেন। সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত মিথ্যা মামলার আসামী মোঃ হায়দার আলী কান্না জড়িত কণ্ঠে জানান, আমি সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের একজন নিরীহ ও সাধারণ শিক্ষক। কিন্তু গত ০৩ এপ্রিল আমি ও শাখাওয়াত হোসেন মাদারীপুর সদর থানার ডেলিভারী সার্ভিস সেন্টারে একটি সালিশ বৈঠকে উপস্থিত থাকা স্বত্ত্বেও মাদারীপুর বারের সদস্য এবং চরমুগুরিয়া ডিগ্রি কলেজের ক্রীড়া শিক্ষক অবৈধ ও বেআইনীভাবে আমাদেরকে অর্থনৈতিকি ক্ষতি এবং সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার লক্ষ্যে উক্ত মিথ্যা মামলা দায়ের করে হয়রানি করে যাচ্ছে। নানাবিদ অপকর্মের নায়ক আরমিন মোল্লা ও তার স্ত্রী রাজৈর ডিগ্রি কলেজে যোগদানের পর থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার, অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা, দূর্নীতি এবং তার সকল নিয়োগ অবৈধ এবং ত্রুটিপূর্ণ হওয়ায় উক্ত আনোয়ার হোসেন আরমিন মোল্লাকে কলেজ থেকে বহিষ্কার করা হয়। সাথে সাথে তার স্ত্রী মরিয়ম মুজাহিদাকে রাজৈর কলেজের অধ্যক্ষের পদ থেকে অপসারণ করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। এ ব্যাপারে মাদারীপুর এডিসি জেনারেল ও শিক্ষা মন্ত্রনালয় কর্তৃক তদন্ত প্রতিবেদনে দুজনকেই দায়ী করা হয়। এরই প্রতিবাদে উক্ত আনোয়ার হোসেন আরমিন মোল্লা এবং তার স্ত্রী আমাদের বিরুদ্বে নানাবিদ মামলা দিয়ে হয়রানি করে যাচ্ছে। উক্ত শিক্ষকগণেরা সঠিক তদন্তের মাধ্যমে উক্ত মরিয়ম মুজাহিদা ও তার স্বামী আনোয়ার হোসেন আরমিনের বিরুদ্ধে আইনগত ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জোরদাবি জানায়।