মাদারীপুর থেকে কাওসার আলম মিঠুঃ দেশের আলোচিত নৌ দুর্ঘটনায় মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার শিমুলিয়া বাংলা বাজার ঘাটে গঞ্জিকা সেবনরত অবস্থায় মাদক সেবি স্পীডবোট চালকের বেপরোয়া টানের কারণে বালু ভর্তি বাল্কহেডের মুখোমুখী সংঘর্ষে ২৮ জনের প্রাণহানি হওয়ার ফলে ৬ সদস্য তদন্ত কমিটি এবং ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের সম্পন্ন। মাদারীপুর স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ পরিচালক মোঃ আজহারুল ইসলাম একান্ত আলাপকালে বলেন, ঘাট ইজারাদারদের অনিয়ম, দুর্নীতি এবং সিন্ডিকেটের অব্যবস্থাপনাই এ দুর্ঘটনার মূল কারণ। গতকাল বিকেল ৪ টায় তার নিজস্ব কার্যালয় বসে সাংবাদিকদের সামনে তিনি আরো বলেন ক্ষতিগ্রস্থ/নিহত প্রতিটি পরিবারকে আমরা ২০ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করেছি। এছাড়া উক্ত ঘাটে প্রশাসনের সুনজরদারি থাকার লক্ষ্যে স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সমন্বয়ে একটি শক্তিশালী ম্যানেজমেন্ট কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এছাড়া স্থানীয় ইজারাদার, কাউন্টার মালিকদের দৌরাত্ব যাতে না থাকে সে লক্ষ্যে সরকারের উর্ধ্বতন মহোলের পক্ষ থেকে বিআইডব্লিউটিএ-এর কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন পরিচালনা কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। নৌ দূর্ঘটনা রোধকল্পে বিআইডব্লিউটিএ-এর কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং নৌ পুলিশের ভূমিকা নগন্য হওয়ার কারণেই এ দুর্ঘটনার মুল কারণ। এ প্রসঙ্গে মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন একান্ত আলাপকালে দৈনিক পূর্বাঞ্চল ব্যুরোচীফকে জানান, এ দুর্ঘটনায় যারা মারা গেছে তাদের প্রত্যেকটি পরিবারকে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে জাতীয় এবং স্থানীয় পর্যায়ে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। বাবা, মা, ভাই-বোনকে হারানো খুলনা শিশু মীমকে পুনর্বাসনের জন্য ব্যারিস্টার আহসান উল্লাহ দায়িাত্ব গ্রহন করেছেন। অন্যদিকে স্বজন হারানো আদুরীকে পুরাপুরি দায়িত্ব গ্রহণের জন্য ঢাকার এক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী দায়িত্ব নিয়েছেন। মাদারীপুর জেলা প্রশাসক আরো বলেন এ জেলায় যারা নিহত হয়েছে তাদেরকে আমরা এলজিএসপি প্রকল্প সহ বিভিন্ন অনুদানের মাধ্যমে তাদের পরিবারকে পুনর্বানের ব্যবস্থা করব।