মাদারীপুর থেকে কাওসার আলম মিঠু: বাংলাদেশে প্রথম ধাপে ২০৪ টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার ১৩ টি ইউনিয়নে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে।
সোমবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। রাত ১০ টার দিকে শিবচর নুরে আলম চৌধুরী অডিটরিয়ামে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন। এসময় পুলিশ সুপার মোস্তফা কামাল রাসেল, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো: মনিরুজ্জামান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান, শিবচর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ, ওসি মিরাজ হোসেনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বেসরকারি ভাবে নির্বাচিতরা হলেন-বহেরাতলা ইউনিয়ন পরিষদ (উত্তর) মোঃ জাকির হোসেন হায়দার, বহেরাতলা ইউনিয়ন পরিষদ (দক্ষিণ) মো: আব্দুল বারী উকিল, ইভিএম পদ্ধতিতে একটি মাত্র ইউনিয়ন কাদিরপুরে নির্বাচিত হয়েছেন বিএম জাহাঙ্গীর হোসেন, শিবচর সদর ইউপিতে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মামুন ফকির, দ্বিতীয়াখন্ড ইউপিতে নির্বাচিত হয়েছেন নারী নেত্রী মনোয়ারা বেগম পুষ্প, পাচ্চার ইউপিতে নির্বাচিত হয়েছেন মোঃ দেলোয়ার হোসেন, দত্তপাড়া ইউপিতে নির্বাচিত হয়েছেন মোঃ মুরাদ মিয়া, শিরুয়াইলে নির্বাচিত হয়েছেন সুরাব উদ্দিন, ভান্ডারীকান্দি ইউনিয়নে নির্বাচিত হয়েছেন আব্দুল কালাম চোকদার, মাদবরের চর ইউপিতে নির্বাচিত হয়েছেন মোঃ ফজলুল হক মুন্সী, নিলখীতে নির্বাচিত হয়েছেন মিজান সিকদার, বাসকান্দি ইউপিতে নির্বাচিত হয়েছে আছাদুজ্জামান খোকন বয়াতি ও কুতুবপুর ইউনিয়নে হাজী মো. আতিকুর রহমান নির্বাচিত হয়েছেন।
শুধুমাত্র একটি ইউপিতে সহিংস ঘটনা ঘটেছে। মাদবরের চর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডে সাধারণ মেম্বর পদপ্রার্থী দুদক কর্তৃক মামলার আসামী ইউসুফ সরদারের সন্ত্রাসী বাহিনীরা অতর্কিত ভাবে নির্বাচনের আগের দিন রাতে ভোট চাইতে গেলে বিজয়ী মেম্বর মো: আজিজুল সর্দারের ভোটার ও কর্মী আবু বক্কর ফকিরকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে সে গুরুতর আহত হয়। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে শিবচর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে তার শারিরীক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। তিনি বর্তমানে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। তার শারিরীক অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছেন তার পরিবারের সদস্যরা।
আহত আবু বক্কর ফকিরের ভাই কামাল ফকির অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচনের আগের দিন সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছে আমার ভাই। কিন্তু শিবচর থানার ওসি আজ পর্যন্ত মামলা গ্রহণ করেননি।
শিবচর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ বলেন, উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রথম ধাপের নির্বাচনে ১৩টি ইউনিয়নের মধ্যে শুধুমাত্র কাদিরপুর ইউনিয়নে ইভিএম পদ্ধতি ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।