কাওসার আলম মিঠু, স্টাফ রিপোর্টার: ফারহানা আক্তার শাম্মী। প্রধান শিক্ষক, মাটি ভাংগা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সদর উপজেলা,মাদারীপুর। ২০০৫ সালে ২৪ জানুয়ারি পারিবারিক ভাবে গাউছ-উর রহমানের সাথে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই স্বামী যৌতুকের জন্য শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতে থাকে।
গাউছ-উর রহমান এক সময় শিবিরের দূর্ধর্ষ ক্যাডার ছিলেন। বর্তমানে বি এন পির ক্যাডার ও সন্ত্রাসি। জীবনের ভয়ে মুখ খোলার সাহস পাননি এ শিক্ষিকা। তারপরেও স্বামী পরকীয়ায় আসক্ত হওয়ায় শিক্ষিকা শাম্মী আক্তার এবং তার ছেলেদেরকে নানাভাবে নির্যাতন করতে থাকে। বার বার হাত খরচের নামে হাজার হাজার টাকা দাবি করেন। এ টাকা দিতে না পারলেই নেমে আসে পাশবিক ও অমানবিক শারীরিক নির্যাতন। শাম্মির বাবার কাছে প্রায়ই যৌতুকের টাকা দাবি করেন। দিতে না পারলে সে মারধর করে সন্তান সহ বাড়ী থেকে বের করে দেয়। এভাবেই কান্না জড়িত কন্ঠে বর্ণনা দিলেন স্বনামধন্য শিক্ষিকা ফারহানা আক্তার শাম্মী। তার ২ ছেলে তৌসিফ রহমান সূক্ত ও তাওহীদ রহমান সায়েন্ত। অসহায় এ শিক্ষিকা ৩০/০৯/২০২০খ্রি. বিজ্ঞ আদালতে একটি যৌতুক মামলা করেন। মামলা নং ৪৮৬/২০২০ । সেই মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিনে এসে গাউছ-উর রহমান মামলা তুলে নেয়ার জন্য প্রচন্ড চাপ প্রয়োগ করেন বলে এ শিক্ষিকা জানান। মামলা তুলে না নেয়ায় সে ক্ষিপ্ত হয়ে গত ০৯/০৬/২০২১ তারিখে দুপুরের দিকে দুই/তিনজন সন্ত্রাসী সহ শিক্ষিকার বাবার বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালিয়ে শিক্ষিকার বৃদ্ধ বাবা-মা,ছোট বোন এবং বড় ছেলেকে বেধড়ক মারধর করে রক্তাক্ত করে ফেলে রেখে যায়। পরে তাদেরকে প্রতিবেশীরা উদ্ধার করে স্থানীয় সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় মাদারীপুর সদর থানায় একটা মামলা দায়ের করা হয় । যার নম্বর ৩৮১৯/২০। স্বামীর অমানবিক অত্যাচার সইতে না পেরে পারিবারিক সিদ্ধান্তে ১২ জুন ফারহানা আক্তার শাম্মী তার স্বামীকে তালাক প্রদান করেন বলে জানান।