মাদারীপুর থেকে কাওসার আলম মিঠু ঃ আজ মাদারীপুর জেলার শিবচরের বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটের কাঁঠালবাড়ী ঘাট সংলগ্ন এলাকায় বাল্কহেডের সাথে স্পিডবোটের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে ২৬ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
কাঁঠালবাড়ী নৌপুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শিমুলিয়া থেকে যাত্রীবাহী একটি স্পিডবোট বাংলাবাজারের শিবচরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। স্পিডবোটটি কাঁঠালবাড়ী (পুরাতন ফেরিঘাট) ঘাটের কাছে আসলে নদীতে থাকা একটি বাল্কহেড (বালু টানা কার্গো) এর পেছনে সজোরে ধাক্কা লেগে উল্টে যায়। এ সময় স্পিডবোটে থাকা ২৮ জন যাত্রী পানির নিচে ডুবে যায়। সাথে সাথে ২৬ জন ঘটনাস্থলে মারা যায়। শিবচর ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এবং ডুবুরী দল এ লাশ গুলো উদ্ধার করে। এর মধ্যে ০৪ জনের বাড়ী খুলনার ডুমুরিয়া। বাকী অন্যান্য লাশ গুলো কোনো কোনো গুলো বরিশাল, মাদারীপুর, শরিয়তপুরসহ অন্যান্য জেলার। এ সংবাদ পেয়ে মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন ও শিবচর উপজেলার নির্বাহী কমকর্তা মোঃ আসাদুজ্জামান এবং মাদারীপুর পুলিশ সুপার মোঃ মোস্তফা কামাল রাসেল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
মাদারীপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতিটা মৃত্যু ব্যক্তির পরিবারকে তাৎক্ষনিক ভাবে ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা প্রদান করা হয়। এ ব্যাপারে এ ঘটনা উদঘটন ও সঠিক তদন্তের লক্ষ্যে ০৬ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে নৌপুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান শুরু করেন। কাঁঠালবাড়ী নৌপুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন,’দূর্ঘটনার পর থেকে আমরা ২৬ জনের লাশ উদ্ধার করেছি। দুইজনকে আহতাবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কতজন বোটে ছিল তা জানা যায় নি। উদ্ধার কাজ চলছে।’ উল্লেখ্য, লকডাউনে গনপরিবহন বন্ধ থাকার পাশপাশি নৌরুটে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে এরই মধ্যে কিছু অসাধু স্পিডবোট চালক অবৈধভাবে যাত্রী পারাপার করে আসছে। সোমবার এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উদ্ধার কাজ চলছে বলে জানিয়েছে নৌপুলিশের ওসি আব্দুর রাজ্জাক। ঘটনাস্থলে ইতিমধ্যে মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন এসেছেন, তিনি নিহতের পরিবারদেরকে দশ হাজার টাকা প্রদান করবেন বলে জানিয়েছেন, এঘটনায় ৬ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করছেন।