মোঃ শাহানুর আলম ,ঝিনাইদহঃ গভীর রাতে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে ঢুকে ডিউটিরত মেডিকেল অফিসার ডাঃ নাফিজ আহম্মদকে পিটানোর অভিযোগ উঠেছে মহেশপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতির বিরুদ্ধে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তদন্তে গিয়ে মারধোর করার সত্যতা পেয়েছেন সিভিল সার্জন সেলিনা বেগম।
হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে, গত রবিবার রাত আনুমানিক দেড়টার সময় জুয়েল রানা নামে এক যুবক বুকে ব্যাথা অনুভব করায় মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তার স্ত্রী তানিয়া বেগমকে সাথে নিয়ে আসে। ওই সময় জরুরী বিভাগে ডিউটিরত ছিলেন মেডিকেল অফিসার ডাঃ নাফিজ আহম্মদ। সেসময় রোগী জুয়েজ রানাকে দেখে ব্যাবস্থাপত্র দিয়ে তার স্ত্রী তানিয়াকে হাসপাতালের উপরের সিটে যেতে বলেন ডাঃ নাফিজ আহম্মদ। এরপর ডাঃ নাফিজ পরীক্ষা নিরীক্ষার কথা বলে তাকে সকালে ডাক্তার দেখাতে বলেন। ওই সময় ডাক্তার ও রোগীর স্ত্রী তানিয়ার সাথে তর্কবিতর্কের ঘটনা ঘটে। এর কিছুক্ষন পর রাত প্রায় দুইটার দিকে মহেশপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আরিফুজ্জামান বিপাশ ও তার সহযোগী ইসরাফিল হোসাইন বাবু, সাদ্দাম হোসেন ও যুগিহুদা গ্রামের আমির হোসেন জরুরী বিভাগের ডাঃ নাফিজ আহম্মদের চেম্বারে ঢুকে তাকে কিল ঘুষি ও লাঠি দিয়ে বেধড়ক পিটাতে থাকে। পরে বিষয়টি টের পেয়ে হাসপাতালে কর্মরত কর্মচারী ও অন্যান্য রোগীর স্বজনেরা ঠেকিয়ে দেয়।
এব্যাপারে মহেশপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আরিফুজ্জামান বিপাশ জানান, মহেশপুর উপজেলার নাটিমা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি রোগী জুয়েল রানার গায়ে জ্বর ও গ্যাসের সমস্যা দেখা দেয়। এরপর স্ত্রীকে সাথে নিয়ে হাসপাতালে আসে। ওইসময় ডাঃ নাফিজ আহম্মদ তার স্ত্রীকে রুমে ডেকে নিয়ে স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয় এবং তাকে কুপ্রস্তাবও দেয়। বিষয়টি জানার পর মারধোর করা হয়নি। আমরা এসে ডাক্তারকে গালমন্দ করেছি।
বিষয়টি নিয়ে কথা হয় ডাঃ নাফিজ আহম্মদের সাথে। তিনি জানান মারধোরের ঘটনা ঘটার পর রাতেই মহেশপুর উপজেলা স্বাস্ব্য কর্মকর্তা ডাঃ হাসিব আহম্মেদকে জানিয়ে ছিলাম। তবে রোগী বা তার স্ত্রীর সাথে কোন খারাপ আচারন বা অশালীন কথা বলি নাই। এঘটনায় ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন ডাঃ সেলিনা বেগম জানান তদন্ত করা হয়েছে। আমরা আরেকটু পর্যাবেক্ষন করছি। এখনও কোন মামলা দায়ের করা হয়নি। তদন্ত কমিটির নিয়ে মিটিং করার পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।