আমি যখন মহাশূন্যে ও মহা-সমগ্রের দিকে তাকালাম তত্ত্বজ্ঞানে সুদূর-
দেখলাম ধ্বংস ও মৃত্যুর গভীরে জীবনের আনন্দ হাসি ক্রন্দনে নব নব সংস্কার!
কতো প্রাণের জাগরণ,কতো পুণজাগরণ,কতো পুণচেতনার দীপ্ত সংসার!
আমি যখন পৃথিবী থেকে মহাবিশ্বের দিকে তাকালাম তৃতীয় নয়নে বিজ্ঞান-
দেখলাম মহাশূন্যের গভীরে কোন রং নেই শুধু শূন্য আর শূন্য সুদূর চিরন্তন!
আমি যখন রাত্রির অন্ধকার ভেদ করে তাকালাম আসমান দিগন্ত চৈতন্যে!
দেখলাম মহাত্মার গভীরে ঐশ্বরিক আলোকপ্রাপ্ত জ্ঞানের বিজ্ঞ বার্তা বাণী!
অনাদি সৃষ্টি থেকে সূর্য দিনকে আলো দিচ্ছে পরিবর্তনের বৈচিত্র্যময় জীবন!
প্রজ্ঞা ও তত্ত্বজ্ঞান সময়কে কর্ম ইতিহাস দিচ্ছে সৌন্দর্যের মনোজ্ঞ শান্তি আভরণ।
আঁধারের গুণাগুণে চাঁদ তারকা ধুমকেতু ও গ্রহগুলো জ্বল জ্বল করছে সাম্য আহ্বানে-
মহাত্মার মহাপ্রেমে মহারঙ্গিলা বন্ধু,অসীম থেকে ক্ষয়ে ক্ষয়ে চেতনায়,
সসীম রূপ ধারণ করে স্থিতিতে বাকা ও চঞ্চল জীবন খেলায়!
তপস্যায় তপস্যায় মানব জীবন ও জ্ঞান সমগ্ৰ আসনে স্থায়ী,
আর ধৈর্যশীল সবরে সবরে হয়ে ওঠে মহা-সাধক বাকাতে বিস্ময়!
সেই মহান রাহমানের দিকে আমি যখন তাকালাম তিনিতো অনন্ত অক্ষয়!
উচ্চ জ্ঞানের জগতে আমি যখন তাকালাম হিয়ার গভীরে তিনিতো দয়াময়!
মহাপ্রেম ও মহা-সমগ্ৰের প্রজ্ঞায় নবীতো আহমদ সিরাজুম মুনিরার পরিচয়!
আত্মবিভোর আত্মমহিমার ধ্যানে ও জ্ঞানে নিগূঢ় ওয়াহেদ সালাতে স্মরণ!
মহাকালের উর্দ্ধে তিনি যেন আর্দশ ও মানবতায় গৌরবময় প্রেমে তাৎপর্যপূর্ণ!
ভালোবাসার উদ্যানে তাঁর গোপন রহস্য গুপ্তধন স্বর্ণ হিরার অমূল্য জ্ঞান আভারণ!
অবয়ব সুরতে তিনিতো নিজেই মুমিনের দেলে সবরকারী নিজেকেই করে স্মরণ!
মাশুক চৈতন্যের গভীরে আমি তাঁর উপষণা করি ধ্যান নামাজ চৈতন্য আশেক!
অনির্বাণ শিখার দহনে জ্বলি পুড়ি প্রেমসুধা মরণে অমর নির্বাক!
আমি যখন সমুদ্র নদীর দিকে তাকালাম অন্তরের গভীরেই ভেদ-রহস্য যৌবন!
তাঁরও কোন রং নেই,নিষ্প্রভ এক মহাজীবন মহাশূন্যে অখণ্ড একক রংহীন!
ধূঁ-ধূঁ বহুদূর সরোবর সুশান্ত করুণার প্রেমে অমৃত প্রজ্ঞাময় ধ্যানে অন্বেষণ!
কখনো সে ঐশ্বরিক কখনো সে জ্যোতির্ময় নূরের উপরে নূর মিলন বন্ধন!
কখনো সে ঐশী অরূপের ভেতরই তাঁর রূপ আকারে প্রকাশ বিজ্ঞানে প্রাণ !
সময়ের নিয়মে সমুদ্র ও নদীতে ঝড় ওঠে খেলা করে নির্দয় ভাঙ্গুন,
ভয়ংকর তার ধ্বংস মৃত্যু লীলা নির্মম নিষ্ঠুর ঢেউয়ে ঢেউয়ে গর্জন!
কতো হারিকেন কতো টাইফোন কতো সাইক্লোন ঘূর্ণঝড় তাণ্ডব ফণী।
জলোশ্বাসে ছিন্ন ভিন্ন লণ্ড ভণ্ড ও বিধ্বস্ত জীবন পৃথিবীর প্রান্তর জমিন।
বেদনা ও ব্যথার গভীরে প্রাণগুলোর আবার উজ্জীবিত হতে থাকে পূণ-মলিন!
নতুন পরিচয় ঘটে পৃথিবীর চরাচরে ও নিগূঢ় তত্ত্বজ্ঞান তাৎপর্যপূর্ণ সৃষ্টি প্রাণ।
আমি যখন মৃত্তিকা অরণ্য প্রকৃতির দিকে তাকালাম আদি অনাদি!
দেখলাম শুধু ধূঁ-ধূঁ আর খাঁ-খাঁ শূন্য বালুচর বেলাভূমির সুরে সুরে নদী!
মৃত্তিকায় কৃষাণ ও কৃষাণির অভিজ্ঞ প্রজ্ঞায় চাষাবাদ হচ্ছে সর্বদা!
চলমান সময়ের ঘর্ষণে ঘর্ষণে,বর্ষণে বর্ষণে,বিস্ময় প্রেম জ্বলে সনাতন!
শস্য খামার জাগে ওঠে সজিব সোনালী অঙ্কুরিত চারাগাছ নতুন!
আলোর শক্তিতে রূপান্তর হয় বৃক্ষ লাল নীল বৈচিত্র্যময় ফসল!
সবুজ হলুদ সাদা রংয়ের প্রভায় আভায় কর্ম কৌশল!
কখনো কালো রাত্রির গভীরে দানবরা অশুভ অশনি জটিল!
তারপরও মৃত্তিকার বুকে ফুল ফোটে,ফল ধরে,বন ও জঙ্গল।
শাখা ও প্রশাখায় বাহারী রং যৌবনকে রসদ দেয় প্রাণশক্তিতে নির্মল।
মহা-রংয়ের গভীরেই গোপন মহা-উৎসব গুপ্তজ্ঞানে তিনি একক!
অরণ্য মাঠ বনানী ও প্রকৃতির প্রান্তরে জীবনগুলো রহস্যে ঘেরা নির্বাক!
কখনো তাঁর ঐশ্বরিক বার্তা নারী ও পুরুষের রূপ ধারণ করে আবর্তন বিবর্তন অবাক।
তপস্যায় তপস্যায় একক আহাদ তিনি অখণ্ড নূরের,
গুণাগুণে মিশে আলোর ছটাতে আলো ফানায় মিশে বিভোর।
তাইতো বলি আর দেখি এতো রং কোথা থেকে আসে,
কোথা যায় চলে,সুদূর সেবা ও কল্যাণের মহত্ব জগতে মিশে!
এই কি তোমার পরমসত্তা?এই কি তোমার পরমচৈতন্য পরিবর্তনের সংস্কার?
তোমার ভেতরেই কি তোমারই মহা-উৎসব রং-বেরঙের লীলা সংসার?
একত্ববাদ মহাচৈতন্যের রহস্যভেদই কি তোমার গুপ্তধনের দ্বার-
সহজ সরল তত্ত্বজ্ঞানের গভীরেই কি তোমার নিজ সত্তা ও মহাজ্ঞানে মহাসত্তা?
তোমার বিধান আদেশই কি লুকানো ও প্রকাশ্য পরিপূর্ণ দ্বীনের চিত্ত।
যার গভীরেই মহৎ কবি ও মুমিনরা বেঁচে থাকে কল্যাণে অমৃত!
জীবনও রংহীন আবার মৃত্যুও রংহীন জগত নিয়মে বিস্ময়!
তবু ফুলের সৌরভে মানব যৌবন হাসে চির-নতুন বসন্তকাল,
আমি ফিরে যেতে চাই,আমি মিশে যেতে চাই আদি অনন্তকাল!
রংহীন ভালোবাসার মহাচৈতন্যে অনাদি ইতিহাস মহাকাল হিয়ায়!
একক ঐশ্বরিক জ্যোতির্ময় নূরের ছটায় জ্বল জ্বল জ্বলে মদিনায়,
আলোকিত জীবন সরল জ্ঞান ও মহাপ্রেমের ঠিকানায়।