অলোক রায় মাগুরা প্রতিনিধি: মাগুরা মহম্মদপুর উপজেলার পলাশবাড়ীয়া ইউনিয়নের চর- ঝামা গ্রামে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষের পর এক মাদ্রাসা ছাত্রকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। নিহতে হাসিবুল মুন্সি (১৪) পিতা মৃত শায়েখ মুন্সি।
শনিবার সন্ধ্যায় এ- ঘটনা ঘটে। নিহত মোঃ হাসিবুল মুন্সি পলাশবাড়ীয়ার ঝামা বরকাতুল উলূম ফাজিল মাদ্রাসার নবম শ্রেণিতে পরুয়া ছাত্র ।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র জানায়, শনিবার বিকালে চর- ঝামা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে বল খেলা কে নিয়ে দর্শকদের দু’পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। এই ঘটনার জের ধরে সন্ধ্যায় পাল্টা পাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। এবং বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।দেশীয় অস্ত্রে নিয়ে
থেমে থেমে প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে সংঘর্ষ চলে। এ সময় ধারালো অস্ত্রের দ্বারা ৪ জন আহত হয়। আহতর মধ্য
হলেন. সাইফার মোল্লা. বাচ্চু মোল্লা. মনোয়ারা বেগম ও জাহাঙ্গীর।
সংঘর্ষ থামার পর মৃত শায়েক মুন্সীর ছেলে হাসিব মুন্সীকে (১৪) চর ঝামা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠের সামনে একা পেয়ে প্রতিপক্ষের লোকজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁকে কোপায়। তাঁকে পার্শ্ববর্তী ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারি সাস্থ্য কমপ্লেক্সএ নেওয়া হয়। কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, সেখানে
রাতে আনা হয়। কিন্তু অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ এর করনে আগেই তার মৃত্যু ঘটে।
হাসিবুল দুই ভাই ও তিন বোনের মধ্যে কনিষ্ঠ ছিলেন।
মধুমতি নদীর পূর্ব পাড়ে দুর্গম চর ঝামা গ্রামে রাতে হাসিবের বাড়িতে শোকের মাতম চলছে। মা মাজেদা খাতুন ভাই বোন ও প্রতিবেশিদের কান্না আহাজারি চলছে। পিতৃহারা বাড়ির নিরিহ ছোট ছেলেকে কীজন্য কারা খুন করল – কোনো হিসাবই মেলাতে পারছেন না তাঁরা।
নিহত হাসিবের বড় ভাই আমানত মুন্সী কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, খেলা বা জমিজমা নিয়ে কিংবা ওই দুই পক্ষের কারও সঙ্গে তাঁদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তবে তাঁর নিরপরাধ ভাইকে খুন করল কেন?
এলাকাবাসী নিরপরাধ হাসিব হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে ন্যায়বিচারের দাবী করেন।
মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল ইসলাম বলেন, পার্শ্ববর্তী আলফাডাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে লাঁশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। পূর্ব বিরোধ ফুটবল খেলা নিয়ে কথা-কাটাকাটির জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ওই সংঘর্ষ ও হত্যার ঘটনায় দোষিদেরকে
আটকের চেষ্টা চলছে। ঘটনার রাতে মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম ও অপারেশন) মোঃ কলিমউল্লহ ও শালিখা মহম্মদপুর সার্কেল মোঃ হাফিজুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পরবর্তী সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।