ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচন ভোটার বিহীন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (৩১ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিরতিহীনভাবে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এখানে ইভিএমে ভোট গ্রহণ হয়েছে। তবে সকাল থেকে কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি একে বারেই কম ছিল। ভোটারের অপেক্ষায় ভোটকেন্দ্রে ঘুমিয়ে পড়েন পোলিং অফিসার শামীমা নাসরিন। এমনই চিত্র দেখা গেছে শৈলকুপা উপজেলার কবিরপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে।
পোলিং অফিসার শামীমা নাসরিন শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য সহকারী হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি বলেন, ভোটার নেই, ঘুম চলে আসছে। এই বুথে দুই ঘণ্টায় একটা ভোট পড়েছে।
কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার শাহিনুর ইসলাম বলেন, এই কেন্দ্রে ৩ হাজার ৪১০ জন ভোটার রয়েছে। সকাল ১০টা পর্যন্ত এই কেন্দ্রে ৫০টি ভোট পড়েছে।
কেন্দ্রের আনসার সদস্যরা বলেন, কেন্দ্রে একদমই ভোটার উপস্থিতি নেই। বসে বসে সময় কাটছে।
উপজেলার বারইপাড়া কেন্দ্রে ৫০ মিনিটে ২০ জন ভোটার ভোট দিয়েছেন। এই কেন্দ্রে মোট ভোটার ২ হাজার ৬৭১ জন।
বারইপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার ফুরকান আলী জানান, সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। ভোটার উপস্থিতি একদমই কম।
জানা গেছে, এই উপ-নির্বাচনে ২ লাখ ৯৬ হাজার ৬৫৪ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করার কথা, কিন্তু অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে ২০শতাংশ ভোট পোল হবেনা। নির্বাচনে তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন নৌকা প্রতীকে আব্দুল হামিক, আনারস প্রতীকে আরিফ রেজা মন্নু ও মোটরসাইকেল প্রতীকে আনিচুর রহমান। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে বলে দাবি করেন আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী । কেন্দ্রে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল। ১২ জন ম্যাজিস্ট্রেট ও ১ জন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নির্বাচনের দায়িত্বে ছিলেন। এছাড়া প্রতিটি কেন্দ্রে নিরাপত্তার দায়িত্ব ছিলেন ৫ জন পুলিশ সদস্যসহ আনসার সদস্যরা।
উল্লেখ্য যে, গত ২০২০ সালের ৪ নভেম্বর উপজেলা চেয়ারম্যান শিকদার মোশাররফ হোসেন সোনা মারা যাওয়ার পর ২০২১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি উপ-নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হন তার স্ত্রী শিকদার শেফালি বেগম। পরবর্তীতে চলতি বছরের ১৬ মে শেফালি বেগম মারা গেলে পদটি আবারো শূন্য হয়।