সনত চক্রবর্ত্তী বোয়ালমারী প্রতিনিধি : ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার মিরেরচর ও হাটুভাঙ্গা গ্রামের যোগাযোগের ও ফসলি আনা নেওয়ার এক মাত্র রাস্তার বেহাল অবস্থা।
এ রাস্তাটি দুই গ্রামসহ আশপাশের বেশ কয়েক গ্রামের মানুষের চলাফেরা ও যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ।রাস্তাটি আয়তন প্রায় দুই কিলোমিটার।
এ দুই গ্রামের মাঝে রয়েছে বিরাট একটি ফসলি মাঠ। মাঠের মাঝখান দিয়ে চলে গেছে একটি কাঁচা রাস্তা। রাস্তাটি এই দুুই গ্রামের এখন অভিশাপ হিসাবে দাাড়িয়েছে।বৃৃষ্টি হলেই হাটু পর্যন্ত কাদা হয়।
সরেজমিন গেলে আব্দুল মালেক মোল্লা (৮৫), জানান, তাঁদের শৈশবে মাটির রাস্তাটি নির্মিত হয়েছে অর্থাৎ রাস্তার বয়স কমপক্ষে ৮০ বছরের বেশি। স্বাধীনতার পরবর্তী দশকে অনেক সরকার গঠন করেছে, কিন্তু রাস্তার কোন উন্নয়ন হয়নি। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতেও জন্মাবস্থার মত সেই কাঁচাই রয়ে গেছে। বয়সের ভারে রাস্তাটির অবস্থা এখন অনেকটাই জীর্ণশীর্ণ।
রাস্তার দুই পাশের বৃহদাকার মাঠের প্রধান দুই ফসল পাট, পেঁয়াজ ও ধানসহ সব ধরনের ফসল দূরের গৃহস্থরা এক সময় গরুর গাড়ি এবং বর্তমানে ব্যাটারিচালিত ভ্যান ও নছিমন যানে ফসলাদি বাড়িতে নেন।
ক্ষেত থেকে পেঁয়াজ উত্তোলনের সময় বৃষ্টি-বাদল কম থাকায় রাস্তা কাঁচা হলেও কোন মতে মৌসুম অতিবাহিত করে হাফ ছেড়ে বাঁচেন কৃষকরা। কিন্তু কৃষকরা বিপাকে পড়েন পাট কাটার সময়; বর্ষা আর বৃষ্টিতে অধিক মানুষের চলাচলের কারণে এ রাস্তা দিয়ে হাঁটা-চলার উপযোগী থাকে না।
এটেল মাটির রাস্তার কাঁদার সঙ্গে পানি মিশে ইটভার কাঁদামাটিতে রূপান্তরিত হয়।
বিশেষ করে দুই গ্রামের মাঝে সংযোগ স্থাপনকারী এ রাস্তাটি সবার জন্য অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ। দুই গ্রামেরই প্রতিটি বাড়িতে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হয়ে গেছে। ছোট ছোট রাস্তাগুলোও এখন পাকা-পিচঢালা। কিন্তু এ রাস্তাটি এখনো উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি।
মোহম্মদ মোল্যা (৯০) বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও এ রাস্তাটি কোন উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি, অথচ দুই গ্রাম সহ বেশ কিছু গ্রামের চলাচল ও মাঠের ফসল আনা- নেওয়ার জন্য এ রাস্তাটি পাকা-পিচঢালা হওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
শাহাদত মোল্লা (৬৫) আক্ষেপ করে বলেন, বর্তমান সরকার যখন সারাদেশে উন্নয়ন করেছে, কিন্তু আমাদের দুটি গ্রামে কোন উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি।এই উন্নয়নের যুগে বৃষ্টি হলে আমাদের স্কুল কলেজ ছেলে মেয়েরা কাঁদা মাড়িয়ে স্কুল স্কুল কলেজে যেতে হয়। এতে বই খাতা ভিজে যায়।
তিনি আরো বলেন, নির্বাচন এলে এম পি, চেয়ারম্যানরা শুধু রাস্তা নির্মানের প্রতিশ্রতি দেন কিন্তু নির্বাচন চলে গেল কেউ কথা রাখেনি।