সনতচক্রবর্ত্তী বোয়ালমারী ফরিদপুর : ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে সংঘাত এড়িয়ে শান্তির বার্তা নিয়ে ঘোষপুরে দুই পক্ষের জনগণ বেশ কিছু দেশিও অস্ত্র জমা দেন।
এ সময় ঢাল-সড়কি, কাতরা,রামদা, টেঁটাসহ প্রায় শতাধিক দেশীয় অস্ত্র জমা দেন তারা।তবে লুকিয়ে রাখা বাকি অস্ত্রগুলো আগামী ৬ই সেপ্টেম্বরের মধ্যে মধ্যে জমা দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন পুলিশ সুপার ।পুলিশ ও এলাকায় বাসীর সৃত্রে জানা যায় , উপজেলার ঘোষপুর ইউনিয়নের এলাকায় দীর্ঘ দিনের বিরোধে বিভিন্ন সময় দুপক্ষ ঢাল-সড়কিসহ দেশিয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয়পক্ষের অনেকেই আহত, পঙ্গু হওয়ার পাশাপাশি অসংখ্য মামলায় জড়িয়ে পড়েন।
বোয়ালমারী থানার ৪ নং বিট ঘোষপুর ইউনিয়নের আয়োজনে (২৯ আগষ্ট)উপজেলার ঘোষপুর ইউনিয়নের চণ্ডিবিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে উপজেলার ঘোষপুর ইউনিয়নের চণ্ডিবিলা ও রাখালগাছি গ্রামের বিবদমান দুই গ্রুপ দীর্ঘদিনের বিরোধের অবসান ঘটিয়ে দেশীয় অস্ত্র জমা দেন। জেলা পুলিশ সুপারের উপস্থিতিতে এই অস্ত্র জমা দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার মো. আলীমুজ্জামান। বোয়ালমারী থানা অফিসার ইন চার্জ মোহাম্মদ নুরুল আলমের সভাপতিত্বে এবং থানা উপ-পুলিশ পরিদর্শক মো. ওহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় আয়োজিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সহকারী পুলিশ সুপার (মধুখালী সার্কেল) সুমন কর, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মো. আসাদুজ্জামান মিন্টু, ঘোষপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. ফারুক হোসেন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বোয়ালমারী থানা অফিসার ইন চার্জ মোহাম্মদ নুরুল আলম।
থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বোয়ালমারী উপজেলার ঘোষপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান চণ্ডিবিলা গ্রামের চান মিয়া ও রাখালগাছি গ্রামের কাজী রফিউদ্দিনের মধ্যে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। তাদের নেতৃত্বে এলাকায় ইতঃপূর্বে বেশ কয়েকবার সংঘর্ষ, বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। রবিবার জেলা পুলিশ সুপারের উপস্থিতিতে চান মিয়া গ্রুপের পক্ষে ১৬টি ঢাল, ৭টি কাতরা, ৬টি রামদা, ১টি চাইনিজ কুড়াল জমা দেয়া হয়। কাজী রফিউদ্দিন গ্রুপের পক্ষে ২২টি ঢাল, ২১টি সড়কি, ১২টি রামদা জমা দেয়া হয়
শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথি বলেন, আগামী ৬ ই সেপ্টেম্বরের পর কারও হেফাজতে কোনো প্রকার দেশিয় অস্ত্র পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কোনো প্রকার অজুহাত ও সুপারিশ চলবে না।