নিউজ ডেস্ক: একটি ফোনে প্রতিদিন বিভিন্ন সেবার নামে শত শত ম্যাসেজ। কোন কোন ম্যাসেজ এ সাথে ইয়েস বাটন। আবার কল শেষে ফোন কোম্পানী খরচের ম্যাসেজ সাথে ইয়েস । গ্রাহকের হাত পড়লেই সর্বনাশ। তার মোবইলে থাকা সব টাকা সর্বনাশ হয়ে যাবে। দেশের লক্ষ লক্ষ গ্রাহকের কোটি কোটি টাকা লুটে নিচ্ছে এসব মোবাইল কোম্পানী দেখার কেউ নেই। দেশের মোবাইল গ্রাহকের ১ শতাংশও বিটিআরসিসেম্পর্কে ধারনা নেই। তাই অভিযোগ কোথায় দিতে হয় তারা জানেনা। নিউজ অ্যালার্ট, ওয়েলকাম টিউন, গান, ওয়ালপেপার, ভিডিও, বিভিন্ন তথ্য (কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, ধর্ম ইত্যাদি বিষয়ক), লাইফস্টাইল, মোবাইল গেম, ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ইত্যাদি সেবার নামে গ্রাহকদের পকেট থেকে কেটে নেয়া হচ্ছে কোটি কোটি টাকা। গ্রাহকরা না চাইলেও এসব সেবা দিয়ে যাচ্ছে সংশ্লিষ্টরা। এ নিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে (বিটিআরসি) অভিযোগের পাহাড় জমেছে। এ প্রসঙ্গে বিটিআরসি জানিয়েছে, সমপ্রতি টিভ্যাস সংক্রান্ত বিষয়ে গ্রাহক পর্যায়ে কিছু অভিযোগ পাওয়া যায়। যেমন-গ্রাহকের অজান্তে টিভ্যাস সার্ভিস অ্যাক্টিভেট করে টাকা কেটে নেয়া, অপ্রয়োজনীয় সেবা চালু করে দেয়া ইত্যাদি। বিটিআরসি’র প্রাপ্য রাজস্ব পরিশোধ না করাসহ গ্রাহক স্বার্থ বিবেচনায় বিটিআরসি টিভ্যাস রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেটধারী প্রতিষ্ঠানে পরিদর্শন শুরু করে। ইতিমধ্যে ১১টি প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন সম্পন্ন করেছে এবং এদের মধ্যে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে বেশকিছু ব্যত্যয় পাওয়া যায়। বিটিআরসি আরো জানায়, এর প্রেক্ষিতে ব্যত্যয়কারী প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে কমিশন হতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে এবং এরূপ পরিদর্শন কার্যক্রম চলমান থাকবে। সরকার দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে প্রতিদিন দেশের সহজ সরল মানুষের কোটি কোটি টাকা লুট হয়ে যাবে। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না দিলে এসব কোম্পানী বেপোরোয়া হয়ে উঠবে।