নিউজ ডেস্ক: বাজারে হঠাৎ করেই নাম করেছে সিগন্যাল মেসেজিং অ্যাপ। কারণ হোয়াটসঅ্যাপের প্রাইভেসি পলিসি নিয়ে আপত্তি। হোয়াটসঅ্যাপের মালিক সংস্থা ফেসবুকের কাছে সমস্ত তথ্য চলে যাবে, এই নতুন প্রাইভেসি পলিসি চালুর ঘোষণার পর থেকেই বিতর্কের শুরু। এ ব্যাপারে আলোকপাত করলেন খোদ সিগন্যালের চিফ ওপারেটিং অফিসার (সিওও) অরুণা হার্ডার।
ভারতীয় বংশোদ্ভূত অরুণা বলছেন, মানুষ বুঝতে পারছেন যে তাঁদের প্রয়োজনের পণ্য তৈরি করে না ফেসবুক। বরং তাঁদের ফোনের বিভিন্ন তথ্যের জন্য পণ্য বানায়। তিনি এও বলছেন, সাধারণ মানুষের পক্ষে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলোর পলিসি বোঝা খুবই কঠিন।
কিন্তু সিগন্যালের পলিসি খুবই সোজাসাপ্টা, জানাচ্ছেন অরুণা। তিনি বলছেন, ‘আমরা কোনও তথ্য সংগ্রহ করি না, কোনও বিজ্ঞাপন দিই না এবং কোনও লাভ করি না। সিগন্যাল ব্যবহারকারী লক্ষ লক্ষ মানুষের সঙ্গে আমরা সরাসরি সম্পর্কে আবদ্ধ। তারাই আমাদের সঙ্গে যুক্ত, কোনও লগ্নিকারী সংস্থা নয়। এ জন্যই আমাদের পলিসি এত সোজাসাপ্টা।’ সিগন্যাল একটি অ-লাভজনক এবং স্বাধীন সংস্থা, জানিয়েছেন অরুণা। তাঁদের লক্ষ্য শুধুমাত্র গ্রাহকদের গোপনীয়তা রক্ষা।
হোয়াটসঅ্যাপ নিয়ে এই বিতর্কের জেরে বাজারে উঠে আসতে চাইছে সিগন্যাল তা স্পষ্ট। সেই লক্ষ্যে কিছুটা সাফল্যও পেয়েছে তারা। ভারতেই ইতিমধ্যে কয়েক লক্ষ মানুষ সিগন্যাল ব্যবহার শুরু করেছেন। সম্প্রতি বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তি এলন মাস্ক এই অ্যাপের হয়ে কথা বলেছিলেন। এদিকে হোয়াটসঅ্যাপও এখন কিছুটা ব্যাকফুটে। ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে প্রায়ই নতুন কিছু ঘোষণা করতে হচ্ছে তাদের।