বাখমুতে বিজয় ঘোষণা করেছে রাশিয়া। অন্যদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, বাখমুত শহর পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। ওই শহরে রক্তাক্ত লড়াইয়ে রাশিয়া বিজয়ী হয়েছে, এমন দাবি মানতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন তিনি। রোববার তার কাছে সাংবাদিকরা জানতে চান, ইউক্রেনের বাখমুত শহর কি তার বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে আছে। জবাবে জেলেনস্কি বলেন, এটা বেদনার। এটা এক ট্রাজেডি। কিন্তু বাখমুত আমাদের হৃদয়ে আছে। পরে তার কর্মকর্তারা ব্যাখ্যা দেন, এর মধ্য দিয়ে প্রেসিডেন্ট ওই শহরের পতন বোঝাননি। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। এর আগে রাশিয়ার আধা সামরিক বাহিনী ওয়াগনার বাখমুত শহরকে দখল করে নেয়ার দাবি করেছে। এক ভিডিও বার্তায় এই বাহিনীর প্রতিষ্ঠাতা ইয়েভগেনি প্রিজোজিন তার কিছু যোদ্ধার সঙ্গে পোজ দিয়েছেন।বলেছেন, তার বাহিনী ওই শহরের পুরোটাই দখলে নিয়েছে। নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতে। তবে দ্রুততার সঙ্গে এ দাবি প্রত্যাখ্যান করে ইউক্রেন সরকার। তারা স্বীকার করেছে পরিস্থিতি সঙ্কটজনক।
রোববার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, বাখমুতের যুদ্ধে বিজয়ী হয়েছে রাশিয়া। সেখানে যেসব সেনা সদস্য দায়িত্ব পালন করেছে, তাদেরকে দেয়া হবে রাষ্ট্রীয় পুরস্কার। কিন্তু এরপরই ইউক্রেনের উপপ্রতিরক্ষামন্ত্রী গানা মালিয়ার বলেন, ওই শহরের কিছু অংশ এখনও ইউক্রেনের সেনাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। তারা সামনে অগ্রসর হচ্ছে। তারা বাখমুত ঘিরে ফেলেছে। ফলে রাশিয়ার সেনাদের জন্য পরিস্থিতি খুবই জটিল হয়ে উঠেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, মস্কোর কাছে বাখমুতের কৌশলগত মূল্য খুব কমই। তবে এটা রাশিয়ার জন্য হতে পারে একটি প্রতীকী বিজয়। অক্টোবর থেকে এই শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে যুদ্ধ করছে উভয়পক্ষ। পশ্চিমাদের হিসাবে বলা হয়েছে, বাখমুতের যুদ্ধে রাশিয়ার ২০ হাজার থেকে ৩০ হাজার সেনা সদস্য নিহত হয়েছে অথবা আহত হয়েছে। অন্যদিকে ইউক্রেনের সেনা কর্মকর্তাদের দিতে হয়েছে বড় মূল্য। এই বাখমুত নিয়ে জেলেনস্কিকে হিরোশিমায় জি৭ শীর্ষ সম্মেলনে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। জবাবে তিনি বলেছেন, আপনাকে বুঝতে হবে সেখানে কিছুই নেই। তারা (রাশিয়ানরা) সবকিছু ধ্বংস করে দিয়েছে। অনেক রাশিয়ান মারা গেছে। আমাদের প্রতিরোধ যোদ্ধারা কঠোর কাজ করেছেন। অবশ্যই তাদের এই মহৎ কাজের প্রশংসা করি। শহরটিতে কোন ভবন দাঁড়িয়ে থাকার ঘটনা বিরল। পুরো জনগোষ্ঠী সেখান থেকে পালিয়েছে।