লালমনিরহাটের পাটগ্রামে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে প্রতিবেশী এক শ্বশুর ও বউমা দু’জনে পালিয়ে গেছেন। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই বউমা’র শ্বশুর হুদা। তিন সন্তানের জনক প্রতিবেশী শ্বশুরের হাত ধরে ৫ বছর বয়সী এক সন্তানের জননী প্রতিবেশী বউমা পালানোর ঘটনায় শহর জুড়ে আলোচনা সমালোচনার চলছে।
জানা গেছে, পাটগ্রাম পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের সোহাগপুর কদমতলী এলাকার বাসিন্দা শাহীন চলতি বছর ডালিম প্রতীক নিয়ে পৌর কাউন্সীলর পদে নির্বাচন করেছিলেন। ওই সময় সম্পর্কের সুত্রপাত বলে জানা যায়। নির্বাচনে হেরে গেলেও পরকীয়াতে মত্ত শাহীন কে শ্বশুর আব্বা সম্পর্ক ধরে ডাকা সেই প্রতিবেশী বউমা’র রেহাই মিলেনি। দু’জনে মাঝেমধ্যে গোপন অভিসারে একে অপরের টানে দেখা করতেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু তালেবের ছেলে শাহীনের হাত ধরে বাড়ী ছেড়ে পালিয়েছেন বউমা এমন আলোচনা এখন টক অব দ্যা টাউনে পরিরক হয়েছে বলে স্থানীয় লোকজন জানান।
স্বামী ও ৫ বছরের এক সন্তানের জননী প্রতিবেশী ওই বউমা ইতি বর্তমানে কোথায় আছেন, কেমন আছেন কেউ জানেন না।
এ বিষয়ে বউমা ইতির বাবার বাড়ী বাউরায় খবর নিয়ে জানা গেছে সেখানে তিনি যাননি।
ইতি’র আপন শ্বশুরের সাথে বন্ধুত্ব থাকার সুবাদে প্রতিবেশী শাহীন সম্পর্কে শ্বশুর হিসেবে বাড়ীতে যাতায়াত করতেন। মাঝেমধ্যে শাহীনকে দাওয়াত খাওয়াতেন ইতি’র শ্বশুর। বাল্য বিয়ের শিকার ইতি ও স্বামীর মধ্য বনিবনার অভাব। সেই কারণে স্বামীর ঘর -সংসারকে টাটা বাই বাই জানিয়ে কখন যে তারা একে অপরের সাথে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তা কেউ টের পায়নি।
প্রায় ৩৫ বছর বয়সের হ্যান্ডসাম শ্বশুরের সাথে প্রায় ২০ বছর বয়স্ক যুবতী বউমা’র পরকীয়া সম্পর্ক প্রমান করে এ এক অসম প্রেম। এ ঘটনায় কারও পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ কোন মন্তব্য করতে রাজী হননি। অভিযুক্ত শাহীনের ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
এ ব্যাপারে পাটগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ ওমর ফারুক বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।