ফরিদপুর প্রতিনিধি : ফরিদপুরের ১ সংসদীয় আসন আলফাডাঙ্গা, বোয়ালমারী ও মধুখালী উপজেলার ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র উন্নয়ন প্রকল্প গুলোর মাধ্যমে পাল্টে গেছে এই তিন উপজেলার মানুষের জীবন যাত্রার মান । গত ২০২০/২১ অর্থবছরে এই তিন উপজেলার ২৯৮ টি প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামীন উন্নয়ন বদলে দিয়েছে এই এলাকার মানুষের ভাগ্যর চাকা । এতে ঘুরে দাড়িঁয়েছে সামাজিক, রাজনৈতিক, কৃষি ও অর্থনীতির চাকা।
দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তার জানান, আগামীতে আরো বেশি বেশি প্রকল্পের মাধ্যমে দিয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলের এই জনপদ গুলোকে আরো বেশি আধুনিকায়ন করা হবে। ফরিদপুরের তিন উপজেলা আলফাডাঙ্গা, বোয়ালমারী ও মধুখালী উপজেলা নিয়ে গঠিত ফরিদপুর -১ সংসদীয় আসন। জেলার ভিতর সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যা ও বড় এলাকা নিয়ে গঠিত এই আসনটি।
তিন উপজেলায় প্রত্যন্ত অঞ্চলের গ্রামীন রাস্তা-ঘাট ও স্কুল কলেজ, হাটবাজার, খেলার মাঠ সহ বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়নের ছোঁয়া বা অবহেলিত অঞ্চল এলাকার আজ উন্নয়ন বইতে শুরু করেছে। সাধারন মানুষ কোন সময় কল্পনা করতে পারেনি বিদ্যুৎতেরর আলোতে আলোকিত হবে। পাকাঁ-রাস্তা ও ব্রীজ এর উপর দিয়ে চলাচল করতে পারবে। এবার এই আসনের সাংসদ মঞ্জুর হোসেন বুলবুল তাঁর পাওয়া কাবিটা/টিআর কর্মসূচি গুলো শতভাগ বাস্তবায়ন করে এই অঞ্চলের গ্রামীন অবকাঠামোগত বাস্তবে রুপ দিবেন ।
তিন উপজেলার পিআইও দপ্তর সূত্রে জানাযায়, তিন উপজেলার ২৯৮টি উন্নয়ন প্রকল্পে ৪ কোটি ২৬ লাখ ৫৯ হাজার ৮ শত ১৭ টাকা ব্যয় হয়েছে ২০২০/২১ অর্থ বছরে। যা সুষ্ট তদারকির মাধ্যমে পুরোটায় ব্যয় করা হয়েছে এই তিন উপজেলায়। এদিকে নতুন তৈরি করা এই সব রাস্তা গুলোর পাশে রোপন করা হচ্ছে কলা ও বজ্রনিধোরক তাল গাছের চারা প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
আলফাডাঙ্গা উপজেলার পানাইল গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ ফারুক আহমেদ আমদের সময় ডটকমকে বলেন, পানাইল থেকে রায় পানাইল সামান্য রাস্তা । কিন্তু সরাসরি একটি রাস্তা না থাকায় আমাদের যাওয়া আসা একেবারে বন্ধ হয়ে ছিলো, এই দুই গ্রামের মধ্যে। যারা আসা যাওয়া করতো তাদের অনেক টাকা পয়সা খরচ করে আসা যাওয়া করতো অনেক পথ ঘুরে।
স্থানীয় এমপি মহোদয় আমাদের দুঃখের কথা শুনে উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা থেকে একটি রাস্তা করে দিয়েছেন। এখন আমরা খুব ভালো ভাবে যাওয়া আসা করতে পারছি।
টগরবন্ধ এলাকার কুদ্দুস শেখ বলেন, আমাদের এই এলাকার একটি খালের উপর একটি ব্রীজের জন্য বহু বছর ঘুরেছি। কিন্তু কেও আমাদের কথা শুনেনি। এবার বিষয়টি এমপি মহোদয়কে জানালে তিনি দ্রত পদক্ষেপ নিয়ে, তার পাওয়া বরাদ্ধ থেকে এই ব্রীজটি করে দিয়ে ২০টি গ্রামের যাওয়া আসা অনেক সহজ করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, প্রত্যন্ত এই সব এলাকায় আগে এমন করে উন্নয়ন না হওয়ার কারনে আমরা পিছিয়ে ছিলাম বর্তমান সময়ের থেকে অনেক।
বোয়লামারী উপজেলার চতুল এলাকার মাহিদ নামে একজন বলেন আমাদের তিন উপজেলায় প্রত্যন্ত অঞ্চলের রাস্তা-ঘাটের আগে তেমন উন্নয়ন হয়নি। অনেক কষ্ট করে আমাদের উৎপাদিত কৃষি পণ্য ও মালামাল আনা নেয়া করতে হতো। এতে সময় ও খরচ দুটোই বেশি হতো। এখন এমপির নেয়া এই সব প্রকল্পের টাকা শতভাগ বাস্তবায়নের কারনে আমরা সুন্দর ভাবে চলাচল করতে পারছি। এতে কৃষি পণ্য সহ উৎপাদিত সকল কিছু দিনে দিনেই বিক্রি করে বাড়িতে আসতে পারছি।
আলফাডাঙ্গা উপজলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ, কে, এম জাহিদুল হাসান জাহিদ বলেন, এমপি মহোদয় একজন সজ্জন ব্যক্তি। এলাকায় অনেক উন্নয়ন কাজ করেছেন। এমপি নিজে বিভিন্ন প্রকল্প সরোজমিনে পরিদর্শণ করে মনোপূত হলেও কেবল তিনি বিল প্রদান করতে নির্দেশ প্রদান করেন। তার মতো এত সৎ ভালো মানুষের কারনে কাবিখা/কাবিটা/টিআর প্রকল্পের টাকা নয় ছয়ের কোন সুযোগ নেই। আর এই কারনে প্রত্যন্ত গ্রামের রাস্তা-ঘাট আজ উন্নয়নের ছোঁয়া পেয়ে বদলে গেছে।খেলার মাঠ সহ অবকাঠামো গত উন্নয়নের সুফল ভোগ করতে শুরু করেছে। বাকী থাকা এলাকার রাস্তা- ঘাট, ব্রীজ, কালভার্ট, খেলার মাঠ, মসজিদ ,মন্দির সহ অন্যান্য কাজ বর্তমান অর্থ বছরের প্রথম প্রান্তিকে শুরু হবে। এম পির পি এস মমিন ইমন বলেন, ফরিদপুর-১ এর আওতাধীন ২৭ টি ইউনিয়নের কোন ওয়ার্ড বা গ্রাম উন্নয়নের আওতার বাইরে থাকবে না। রাতে রাস্তায় চলতে যাতে অসুবিধা না হয় তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সৌর বিদ্যুতের ব্যবস্থা করেছেন।
আলফাডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা তৌহিদ এলাহী বলেন, সরকার থেকে পাওয়া উন্নয়ন প্রকল্পের পুরো টাকা সুষ্ট তদারকির মাধ্যমে বন্টিত হয়েছে এই সব উপজেলোয়। চেষ্টা করছি এই সব এলাকার অনগ্রসর উন্নয়ন না হওয়া প্রত্যন্ত এলাকায় আরো কাজ করে এলাকা গুলোকে আধুনিকতার ছোঁয়া দেয়ার। তিনি আরো বলেন, প্রকল্পগুলার বরাদ্দ একটু দেরিতে আসায় বর্ষা মৌসুমেই কাজ করেতে হচ্ছে। তারপরেও কঠোর নজরদারিতে সকল কাজ বুঝে নেয়া হচ্ছে।