পিরোজপুর প্রতিনিধি : পিরোজপুরে নানা কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিনী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯১ তম জন্ম বার্ষিকী পালিত হয়েছে। আজ রোববার সকালে জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে সামনে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের প্রতকিৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পন শেষে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালী যুক্ত থেকে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, মৎস্য ও পশুসম্পদ মন্ত্রী অ্যাডভোকেট শ.ম রেজাউল করিম। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক চৌধুরি রওশন ইসলামের সভাপতিত্বে এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, পুলিশ সুপার সাইদুর রহমান। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন, আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আক্তারুজ্জামান ফুলু, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার গৌতম রায় চৌধুরী, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউল আহসান গাজী, জেলা ছাত্রলীগ সাবেক সভাপতি মাকসুদুর ইসলাম লিটন সিকদার, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি রাসেল পারভেজ রাজা, সহ সভাপতি লুবনা আহম্মেদ প্রমুখ। এসময় আলোচনা সভায় বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বিভাগের প্রধানগন, সাংবাদিক ও গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
এসময় বক্তারা বলেন, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব ছিলেন বঙ্গবন্ধুর সহায়ক। তিনি জাতির পিতাকে পাশে থেকে সব সময় সাহস ও প্রেরণা যুগিয়েছেন। জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি বঙ্গবন্ধুর পাশে ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন জ্ঞানী, বুদ্ধিদীপ্ত, বিচক্ষণ, দায়িত্ববান ও ধৈর্যশীল নারী। বঙ্গবন্ধুর জীবনে তার প্রভাব ছিল অপরিসীম। ঘাতকেরা যখন বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করল তিনি তখন জন্য বাঁচার আকুতি করেননি। তিনি বলেছেন ওনাকে যখন মেরে ফেলেছ আমাকেও মেরে ফেল। এভাবেই বঙ্গবন্ধুর জীবনের সুখ-দুঃখের সাথি হয়েই শুধু নয়, মৃত্যুতেও সাথি হয়েছিলেন তার সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব।
আলোচনা সভা শেষে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়। এছাড়াও যোহর নামায শেষে জেলার সকল মসজিদে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের রুহের মাগফিরাত কামনায় সকল মসজিদে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।