পিরোজপুর প্রতিনিধি : পূর্ব শত্রুতার জেড় ধরে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার দক্ষিন চড়ক গাছিয়ার কচুবাড়িয়া গ্রামের মো: এনায়েত হোসেন এর মাছের ঘেরে রাতের আধারে বিষ প্রয়োগে করে ৭ শতাধিক তেলাপিয়া ও ২ শতাধিক কাতল মাছের মেরে ফেলার ঘটনা ঘটেছে। আজ শনিবার এ ঘটনার ছয়দিন ধরে থানায় এবং বিভিন্ন মহলে ঘুরেও মামলা নিচ্ছেন না পুলিশ এমনটাই অভিযোগ করেছেন ঘেরের মালিখ মো: এনায়েত হোসেন।
ঘেরের মালিক মো: এনায়েত হোসেন জানান গত রবিবার রাতের আধাঁরে তার ঘেরে বিষ প্রয়োগ করে সকালে তিনি দেখতে পার ঘেরের সব মাছ মরে ভেসে আছে। তিনি ধারনা করছেন জমিজমা নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জেড় ধরেই এ ঘটনা ঘটিয়েছে তার পতিপক্ষরা। তিনি সাথে সাথেই বিষয়টি এলাকার ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যানকে জাননা এবং থানায় মামলা করেতে গেলে পুলিশ ঘরিয়ে পেচিয়ে কালক্ষেপন করে ছয় দিনেও মামলা নেননি। মামলা না নেয়ার একমাত্র কারন হিসেবে তিনি প্রতিপক্ষ প্রভাবশালি বলে মনে করছেন তিনি। তিনি আরো জানান পার্শবর্তী শাহজাহান ফকির ও কালাম ফকির এর সাথে দির্ঘদিন ধরে জমিজমা নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জেড় ধরে এঘটনা ঘটতে পারে। তবে তিনি পুলিশের সুষ্ঠ তদন্ত চাইলেও ছয়দিন ঘুরিয়ে কোন মামলা নেয়নি পুলিশ।
ঘেরের মালিক এনায়েত হোসেন আরো জানান নিজের ভাগ্য উন্নয়নে কিনেছিলেন ২ বছর আগে ক্রয় করা ৩৩ শতক জমির উপর নিজ পরিশ্রমে মাছের ঘেরে মাছ ছেড়ে গড়ে তুলেছিলেন দিন দিন মাছকে খায়িয়ে বড় করছিলেন। ঘেরে ৭ শতাধিক তেলাপিয়া ও ২ শতাধিক কাতল মাছের সমারোহ ছিল।
ঘের কইরা ঘুছাইতে মাটি কাটা নিয়ে প্রায় ১.৫ লক্ষ টাকা খরচ হইছে। মৎস্য অফিসারের লগে আমি যোগাযোগ কইরা সে মাছ সোনার বাংলা দিয়া আনতে বলছে আমি ওইখান থেকে মাছ নিয়া আসছি। সাড়ে ৬ হাজার মাছ আনছি মনছোচ তেলাপিয়া আইনা সে যেভাবে পদ্ধতি দেছে খাবার সেইভাবে খাওয়াইছি। সে বলছে এসিআই খাবার খাওয়াইতে সেইভাবে খাওয়াইছি, খাওয়াবার পরে এর ভিতর আমি মাঝখানে ২০০ কাতল মাছ ছাড়ছি। সকালে আইয়া দেহি যে পানি সব সাদা পরে ভালো করে তাকিয়ে দেখি মাছ সব মইরা ভাইসা উঠছে এবং আমি যে মাছপোনা খাওয়াইছি ব্যাংক ও সমিতি থেকে অনেক ঋণ হইছি। আমাকে অনেকে বলছে কোন শত্রু আছে নাকি আমার। আমার শত্রু আছে, জমি কেনা, জমির হাটার পথ নিয়ে ঝামেলা আছে। গ্রামবাসী শত শত লোক আমার এই ঘেরের মরা মাছ দেখেতে আসছে, কিন্তু একটা গ্রুপ আমাকে দেখতেও আসে নাই, খোজও নেয় নাই। আমার সম্বল দিয়ে আমি এতোটুকু করছি যাতে পরিবার নিয়ে ভালো থাকতে পারি। আমি এর সুষ্ঠু বিচারের দাবি করছি।
প্রতিবেশী আ: রাজ্জাক হাওলাদার জানান, ওদের যে এতবড় ক্ষতি হবে এয়া কোনদিন ধারনা করতে পারি নাই। আজকে যে ক্ষতি টা হইল এই ক্ষতি শুধু ওর না এই ক্ষতি পুরো এলাকাবাসীর কারন এনায়েত মিয়াকে আমরা ডাক দিতাম কাছে পাইতাম এখন তো তার জীবনের ভয়তে দূরেও যাবেনা, কেননা তার জীবনহানি হইতে পারে তার জীবন শেষ করে দিতে পারে এই সন্ত্রাসীরা। আমরা এর বিচার চাই।
৯নং সাপলেজা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো: মিরাজ মিয়া জানান, যে মাছ মারা গেছে তাতে আমার মনে হয় এটা শত্রুতা মূলকই। এতোগুলা মাছ খারাপ কোন কিছু ছাড়া বা বিষ ছাড়া মরতে পারে না। তারা থানায় জানিয়েছে এবং আমরা তদন্ত করছি। উদ্ধার করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে। ক্ষতিগ্রস্থর পক্ষে সহযোগীতা ও কাজ করবো।
মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুদুজ্জামান বলেন, রাতের আধারে কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা কারো জানা নাই। তবে এ ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে আইনানুক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।