শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:২৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
ঝিনাইদহে কোটা সংস্কারকারিদের সাথে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া,গুলি বর্ষণ, পুলিশসহ আহত-৪০, আটক-২ সারা দেশে নিহতের সংখ্যা ১৩ স্বাচিপ ঝিনাইদহ জেলা শাখার সভাপতি ডাঃ মামুন, সম্পাদক ডাঃ কাওসার শিবির কর্মী-ছাত্রদল এবং বহিরাগতরা ঢাবির হলে তাণ্ডব চালিয়েছে-মোজাম্মেল হক সারা বাংলা র ৮৮ এর চতুর্থ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীপালন সারা বাংলা’র ৮৮ মাদারীপুর জেলা প্যানেলের উদ্যোগে চতুর্থ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীপালন ঝিনাইদহে কোটা বিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের উপর ছাত্রলীগের হামলা, আহত-২০ রংপুরে পুলিশের গুলিতে কোটা আন্দোলনকারী আবু সাঈদ নিহত চীন-রাশিয়া সামরিক মহড়া ছাত্র নিহতের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দাবি অসত্য: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
নোটিশ
যে সব জেলা, উপজেলায় প্রতিনিধি নেই সেখানে প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। বায়োডাটা সহ নিউজ পাঠান। Email: newssonarbangla@gmail.com

পত্নীতলায় কঠোর লকডাউনেও স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না

শামীম আক্তার চৌধুরী প্রিন্স, পত্নীতলা (নওগাঁ) প্রতিনিধি
Update : শনিবার, ৩১ জুলাই, ২০২১, ৫:৫৯ অপরাহ্ন

শামীম আক্তার চৌধুরী প্রিন্স, পত্নীতলা (নওগাঁ) প্রতিনিধিঃ পত্নীতলায় কঠোর লকডাউনেও মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি, বাড়ছে করোনার ঝুঁকি। প্রশাসন সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী দিবারাত্রি স্বাস্থ্যবিধি মানাতে এলাকার মানুষকে ঘরে রাখার চেষ্টা চালালেও স্বাস্থ্যবিধি মানছে না অত্রাঞ্চলের বেশির ভাগ মানুষ। শনিবার প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলা সদর নজিপুর বাজার এলাকার স্বর্নের দোকান এবং বিভিন্ন এলাকায় চায়ের দোকান সহ অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার অপরাধে জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

পরিস্থিতি দিন দিন ভয়াবহ হলেও কঠোর বিধিনিষেধ অমান্য করে চলাফেরা করা এ এলাকার মানুষের নিয়মিত সভাবে পরিনত হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি না মানায় করোনার সংক্রমণের ঝুঁকি দিন দিনই বাড়ছে। স্বাস্থ্যবিধি মানাতে প্রশাসনের অভিযান চলমান থাকলেও উপজেলা সদর নজিপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকার বঙ্গবাজার সহ বিভিন্ন কাপড়ের দোকান, মনোহারী দোকান, হোটেল রেস্তোরা, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, নতুনহাট এবং উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ও চটপটি, ফুচকা, সিংগাড়া চায়ের দোকান গুলোতে প্রশাসনের অনুপস্থিতিতে চলাচল করতে দেখা গেছে এ এলাকার মানুষজনকে। অপরদিকে মসজিদ সহ অন্যান্য উপাসনালয় গুলোতেও মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। মসজিদ, মন্দিরে আসা অধিকাংশ মানুষেরই মুখে থাকছেনা কোন মাস্ক।

লকডাউনের বিধি অনুযায়ী, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান ও জরুরি সেবা ছাড়া গণপরিবহন, বিপণিবিতান ও অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কথা। তবে প্রশাসনের উপস্থিতিতে দোকানপাট বন্ধ রাখা ছাড়া জনজীবনে তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি। সন্ধ্যারপর উপজেলা সদর সহ বিভিন্ন এলাকার ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলোতে তিল ধরনের ঠাই থাকেনা। অধিকাংশ মানুষেরই মুখে থাকেনা মাস্ক। আর থাকলেও তা থুতনিতে বা কানে ঝোলে। পরিস্থিতি এমন যে, এসব এলাকায় নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব হয়না। অন্যদিকে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে যখন প্রশাসন সোচ্চার তখন সমাজের দায়িত্বপূর্ন অবস্থানে থাকা ব্যক্তি ও পরিবারের লোকজন করোনা পজিটিভ হওয়ার পরও কোনও নিয়ম নিতি না মেনে দেদারছে ঘুরে বেড়াচ্ছো সাধারন মানুষের সাথে। চলছে গায়ে হলুদ, বিবাহ, জন্নদিন সহ নানা সামাজিক অনুষ্ঠান। ফলে, উপজেলায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী।

সরেজমিনে দেখা গেছে, রাস্তাঘাটে লোকজনের চলাচল বেড়েছে। স্বাস্থ্যবিধি না মানার প্রবণতাও ছিল লক্ষণীয়। এদিকে লকডাউন কার্যকর করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত প্রচার চালানো হচ্ছে। বিনা প্রয়োজনে বের হলে জরিমানা করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সেই সঙ্গে যানবাহনের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হচ্ছে। তারপরেও এ এলাকার মানুষ বিভিন্ন অজুহাতে রাস্তায় বাড়ি থেকে বেড় হচ্ছেন। আর লকডাউন মানাতে উপজেলা সদর সহ বিভিন্ন পাড়া মহল্লার মোড় গুলোতে যেসব সেচ্ছাসেবক কাজ করছে তারা বিভিন্ন জরুরী প্রয়োজনে বেড় হওয়া মানুষদেরকে নানা ভাবে হয়রানী সহ ঐসব মানুষদের সাথে হাতাহাতির ঘটনা পর্যন্ত ঘটছে বলেও জানাগেছে।

উপজেলা সদর সহ বিভিন্ন এলাকার সড়কগুলো কার্যত ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক চার্জার ও ভ্যানের দখলে। এসব যানবাহনের চলাচল ঠেকাতে প্রশাসন সহ পুলিশ সদস্যদের রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে। উপজেলা সদর নজিপুর বাসস্ট্যান্ড চার মাথার মোড় সহ বিভিন্ন সড়কে পথচারী ও যানবাহন চলাচলে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছে পুলিশ। কিন্তু কে শোনে কার কথা। লক ডাউন দেখতে অনেকেই ঘর থেকে বের হচ্ছে। তাদের মধ্যে মাস্ক ব্যবহার ও স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়েও উদাসীনতা লক্ষ করা যায়।

উপজেলা বিভিন্ন হাটবাজার সহ মোড় গুলো ঘুরে দেখা যায়, নানা বয়সী মানুষের ভিড়। একই চিত্র দেখা গেছে, বাসস্ট্যান্ড এলাকার বঙ্গবাজারের অলিতে গলিতে। পুলিশের অনুপস্থিতিতে একটু সুযোগ পেলেই দোকানের সাটার তুলে ভেতরে ঢুকে চলছে কেনাকাটা। একই অবস্থা বাসস্ট্যান্ড এলাকার বিভিন্ন মুদিখানা, কাপড়ের দোকান, কসমেটিকস, জুতা, রড সিমেন্টের দোকান, স্যানেটারী, টিভি ফ্রিজের শোরুম গুলোতেও।

এদিকে হাট বাজার গুলোতে সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী ইজারাদার ও তাদের লোকজন মাইকিং করে ঘোষণা দিচ্ছেন শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেনা বেচা করতে। তবুও সেদিকে কারো কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। হাটে আসা অধিকাংশ মানুষেরই মুখে নেই মাস্ক। মানছেন না সামাজিক দূরত্বও। ফলে এ উপজেলায় করোনা সংক্রমন বাড়ার আশঙ্কা করছে অভিজ্ঞ মহল।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ খালিদ সাইফুল্লাহ জানান, দেশ এখন ক্রান্তিকাল সময় পার করছে। এই মূহুর্তে মানুষ যদি সচেতন না হয় তাহলে সামনে আরও কঠিন সময় পার করতে হতে পারে। সেজন্য স্বাস্থ্যবিধি মানার পাশাপাশি শতভাগ মাস্ক পরিধান করা জরুরি।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) সানজিদা সুলতানা জানান, স্বাস্থ্যবিধি মানাতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলা সদর সহ বিভিন্ন হাটবাজার গুলোতে ও জনসমাগম এলাকা গুলোতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা অব্যাহত রয়েছে। শনিবার উপজেলা সদর নজিপুর বাজার এলাকার স্বর্নের দোকান এবং বিভিন্ন এলাকায় চায়ের দোকান সহ অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার অপরাধে জরিমানা আদায় করা হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Theme Created By Uttoron Host