নিউজ ডেস্ক: ইউক্রেনসহ প্রতিবেশী দেশগুলোর ওপর রাশিয়ার আগ্রাসন বেশিদিন সহ্য করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো।
শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) সংস্থাটির মহাসচিব, ইইউ কমিশন প্রধান উরসুলা ভন ডার লেনসহ ইইউ নেতারা রাশিয়ার রাজনৈতিক কৌশল নিয়ে সতর্ক করেন।
ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার সঙ্গে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই শুক্রবার জার্মানির নতুন চ্যান্সেলর ওলাফ শলজের সঙ্গে বৈঠক করেন পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ। পরে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে রাশিয়ার যে কোনো আগ্রাসন প্রতিহতের ঘোষণা দিয়ে ন্যাটো মহাসচিব বলেন, ইউক্রেনে হামলা চালালে পুতিন প্রশাসনকে চরম মূল্য দিতে হবে। এ সময় ন্যাটোয় ইউক্রেনের যোগ দেওয়ার বিষয়ে আমন্ত্রণ প্রত্যাহার করার জন্য রাশিয়ার দাবি প্রত্যাখ্যান করেন তিনি।
জেন্স স্টলটেনবার্গ, রাশিয়া যদি ইউক্রেনে তার দখলদারিসুলভ অনৈতিক শক্তি প্রয়োগ অব্যাহত রাখে তাহলে দেশটিকে অবশ্যই একদিন চড়া মূল্য দিতে হবে। আমরা বরাবরের মতোই রাশিয়াকে সাবধান করে দিতে চাই।
রাশিয়ার বৈদেশিক নীতির তীব্র সমালোচনা করে নতুন জার্মান চ্যান্সেলর বলেন, সম্মিলিত সামরিক জোট ন্যাটোতে কে থাকবে বা কে থাকবে না সেই সিদ্ধান্ত ন্যাটোর ৩০টি দেশের মিত্র এবং ইউক্রেন নেবে। এখানে রাশিয়ার কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে না।
জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলজ বলেন, আমরা কোনো সিদ্ধান্ত নেবো তা রাশিয়ার কাছ থেকে জানতে হবে না। যে কোনো মূল্যে বিধ্বস্ত ইউক্রেনকে রাশিয়ার হাত থেকে রক্ষায় আমাদের সামরিক জোট ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা রাখবে।
রাশিয়ার বিরুদ্ধে একই সুরে কথা বলেছেন ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেন।
তিনি বলেন, দেখুন ইইউ ও পশ্চিমা মিত্ররা রাশিয়ার জবরদখল সম্পর্কে উদ্বিগ্ন। একই সঙ্গে আমরা ইউক্রেনের সার্বভৌমত্বের প্রতি পূর্ণ সমর্থন দিয়ে আসছি। রাশিয়া যদি প্রতিবেশী কোনো দেশের ওপর হামলা চালায় তাহলে রাজনৈতিক, কৌশলগত এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ভয়াবহ ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে তাদের। এর পরিণাম হবে ভয়াবহ।
মস্কো তার ঔদ্ধত্য মনোভাব থেকে সরে আসলে রাশিয়া অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলেও সতর্ক করেন ইইউ নেতারা। দেশটির ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি আলোচনার টেবিলে রয়েছে বলেও জানান তারা।