আইনুল ইসলাম, নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি: নওগাঁর মহাদেবপুরে সড়ক দূর্ঘটনায় কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ১১ জনকে মহাদেবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়। আশংকাজনক অবস্থায় ৪ জনকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ও অন্যদের নওগাঁ সদর হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে নজিপুর-মহাদেবপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের মহাদেবপুর উপজেলার জিয়াবাজার হারুনের ইটভাটার সামনে। নজিপুর থেকে নওগাঁ যাওয়ার পথে একটি যাত্রীবাহী বাস (ঢাকা মেট্রো জ ০৪-০৩২১) ঘটনাস্থলে পৌঁছলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের ডান পাশে একটি যাত্রীবাহী অটোচার্জারকে ধাক্কা দিয়ে একটি গাছের সাথে ধাক্কা খায়। এতে বাসের সামনের অংশের কয়েক ফুট দুভাগ হয়ে যায়।
অহতরা হলেন, মহাদেবপুর উপজেলার এনায়েতপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কালনা গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের ছেলে তরিকুল ইসলাম (৪৫), বাসের সুপারভাইজার উত্তরগ্রাম গ্রামের ছলিম উদ্দিনের ছেলে হেলাল উদ্দিন (৩২), সফাপুর ইউনিয়নের পবাতৈড় গ্রামের মৃত মহিউদ্দিনের ছেলে আফসার আলী (৬৫) ও নওগাঁ শহরের কুমারপাড়া মহল্লার আক্কাস আলীর ছেলে গোলাম মোস্তফা (৩৫)।
গুরুতর আহত অন্যরা হলেন নওগাঁ শহরের আশিকুর রহমানের ছেলে আশরাফ আলী (২১), তোজাম্মেল হকের ছেলে মোরশেদ আলম (৩৫), মহাদেবপুর উপজেলার খাজুর গ্রামের মোঃ মিঠুর স্ত্রী শাহিনা বেগম (২১), মহিনগর গ্রামের আখের আলীর ছেলে নাহিদ (২৫), সোলাইমান আলীর ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান (২৫), পত্নীতলা উপজেলার বেঙডোম গ্রামের হাফিজুল ইসলামের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম (৪০) ও দোঁচাই গ্রামের গণেশ চন্দ্র মন্ডলের ছেলে বিপ্লব কুমার মহন্ত (৫০)।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে এনায়েতপুর ইউপি চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান মিঞা জানান, ৪এপ্রিল রোববার বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে নজিপুর থেকে মহাদেবপুর আসার পথে একটি যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের ডান পাশে একটি যাত্রীবাহী অটোচার্জারকে ধাক্কা দিয়ে সড়কের পাশে একটি গাছের সাথে ধাক্কা খায়। এতে বাসের ও অটোচার্জারের যাত্রীরা মারাত্মক আহত হন। কারো মাথা কেটে যায়, কারো পা ভেঙ্গে যায়, কারো হাত, কারো দাঁত ভেঙ্গে যায়। খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস ও থানা পুলিশে খবর দেন।
মহাদেবপুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে। মহাদেবপুর থানার ওসি আজম উদ্দিন মাহমুদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
মহাদেবপুর বাস শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা খোরশেদ আলম জানান, বাসের ষ্টিয়ারিং ও ব্রেক ফেল করায় ড্রাইভার বাসের নিয়ন্ত্রণ হারায়। কিন্তু ওই বাসের একজন যাত্রী আহত গোলাম মোস্তফা জানান, বাস চলন্ত অবস্থায় ড্রাইভার দীর্ঘক্ষণ ধরে মোবাইলফোনে কথা বলছিলেন। যাত্রীরা তাকে বার বার শতর্ক করা সত্ত্বেও তিনি কথা বলা বন্ধ করেননি। এক হাতে ষ্টিয়ারিং চালানোর ফলেই এই দূর্ঘটনা ঘটে বলে তিনি দাবী করেন।
মহাদেবপুর থানার ওসি আজম উদ্দিন মাহমুদ বলেন, গাড়ীটি জব্দ করা হয়েছে। তবে ড্রাইভারকে পাওয়া যায়নি। এব্যাপারে কেউ মামলা দায়ের করেনি বলেও তিনি জানান।