নিউজ ডেস্ক: দেশে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ দুয়েকদিনের মধ্যে দেওয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। শনিবার (৩১ জুলাই) বিকেলে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জাপানের উপহারের অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার দ্বিতীয় চালান গ্রহণ শেষে তিনি এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, জাপানের কাছ থেকে টিকা পাওয়ার ফলে দ্বিতীয় ডোজের চিন্তা অনেকটাই দূর হলো। আমরা কাল অথবা পরশু থেকেই দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া শুরু করব।
তিনি বলেন, ‘আজকে ৭ লাখ ৮০ হাজার ডোজ টিকা পেয়েছি। কিছুদিন আগে দুই লাখের বেশি পেয়েছি। সবমিলিয়ে ১০ লাখের বেশি পেয়েছি জাপান সরকারের কাছ থেকে। আগস্ট মাসে আরও ৬ লাখের বেশি টিকা আসবে। সব মিলিয়ে প্রায় ৩০ লাখের বেশি টিকা আমরা পাব।’
মন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের দেশে ১৫-১৬ লাখ লোক অ্যাস্ট্রাজেনেকার দ্বিতীয় ডোজের অপেক্ষায় আছেন। তাই এই টিকার গুরুত্ব অনেক বেশি। আমি মনে করি, সেই অপেক্ষা দূর হলো। আমরা কাল-পরশু থেকেই অ্যাস্ট্রাজেনেকার দ্বিতীয় ডোজ যারা পায়নি তাদের দেওয়া শুরু করব।
জাহিদ মালেক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ও গাইড লাইনে আমরা অনেক দূর এগিয়েছি টিকার বিষয়ে। এ পর্যন্ত টিকার মজুত আছে দুই কোটি ৪০ লাখ ডোজ। টিকাদান করা হয়েছে এক কোটি ৩০ লাখ। বর্তমানে সরকারের হাতে আছে এক কোটি ২১ লাখ টিকা। চীন থেকে আরও ৩৪ লাখ টিকা আগামী সপ্তাহে দেশে আসবে। এ মাসেই অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা আসবে। আগামী মাসে ফাইজার থেকে ৬০ লাখ টিকা আসবে।’
এদিকে, এদিন বিকেলে জাপান থেকে কোভ্যাক্সের অধীনে দ্বিতীয় চালানে ৭ লাখ ৮১ হাজার ৩২০ ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার চালান নিয়ে নিপ্পন এয়ারওয়েজের একটি বিমান ঢাকায় পৌঁছায়। বিমানবন্দরে টিকার চালানটি গ্রহণ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতো এই টিকা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন।
এর আগে জাপানের স্থানীয় সময় শুক্রবার রাত ১১টা ৪০ মিনিটে বিমানটি টিকা নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা হয়। এই নিয়ে জাপানের কাছ থেকে ১০ লাখেরও বেশি ডোজ টিকা পেল বাংলাদেশ। কোভ্যাক্স সুবিধার আওতায় অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৩০ লাখ ডোজ টিকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে জাপান।
এর আগে গত ২৪ জুলাই দুই লাখ ৪৫ হাজার ২০০ ডোজ করোনার টিকা নিয়ে ক্যাথে প্যাসিফিক এয়ারওয়েজের একটি বিমান হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
টিকা গ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আগামীতে দেশে টিকার আর কোনো সংকট থাকবে না।
এ সময় জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, আগামী ১ মাসের মধ্যে আরও প্রায় ২৮ লাখ টিকা জাপান থেকে বাংলাদেশে আসবে।