পূর্ব ঘোষিত লাইভ ফায়ার এক্সারসাইজের সময় শেষ হয়েছে রোববার। তারপরও তাইওয়ানের চারপাশে ব্যাপক আকারে সামরিক মহড়া অব্যাহত রেখেছে চীন। দেশটির সামরিক বাহিনীর তরফে এ কথা জানানো হয়েছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। চীনা সেনাবাহিনীর ইস্টার্ন থিয়েটার কমান্ড বলেছে, তারা সাবমেরিন বিরোধী হামলার বিরুদ্ধে এবং সমুদ্রে ঘেরাওয়ের বিরুদ্ধে মহড়া চালাবে। এর আগে যে চারদিন তাইওয়ানের চারপাশে চীন সামরিক মহড়া করেছে, তা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির সফরের জবাবে। এই মহড়ার মাধ্যমে আগ্রাসনের চর্চা করছে চীন- এমন অভিযোগ করেছে তাইওয়ান। সোমবার দেশটি বলেছে, মহড়াকালে চীনা বিমান অথবা জাহাজ তাদের জলসীমায় প্রবেশ করেনি, যার বিস্তার উপকূল থেকে ২২ কিলোমিটার পর্যন্ত।
তাইওয়ানের চারপাশে চীনের এই মহড়ার নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া ও জাপান। তাদের অভিযোগ তাইওয়ান প্রণালীর মর্যাদা পরিবর্তন করে দেয়ার লক্ষ্য স্থির করেছে চীন। মূল ভূখ- ও তাইওয়ানের মধ্যে ১৮০ কিলোমিটার বিস্তৃত এই প্রণালী।
ওদিকে ন্যান্সি পেলোসির সফরের বদলা নিতে জলবায়ু পরিবর্তন সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রকে সহযোগিতা করার রীতি ভঙ্গ করেছে বেইজিং। এর নিন্দা জানিয়েছে ওয়াশিংটন। উল্লেখ্য, তাইওয়ানকে বেইজিং তার নিজের একটি প্রদেশ হিসেবে দাবি করেছে। তারা প্রয়োজনে শক্তি ব্যবহার করে তা নিজেদের দখলে নিতে চায়। কিন্তু তাইওয়ান চলছে নিজস্ব শাসনে। তারা নিজেদেরকে চীন থেকে আলাদা এবং সার্বভৌম দেশ হিসেবে দাবি করে। তাদেরকে সার্বভৌম হিসেবে বিশে^র যেসব দেশ মনে করে, তা ফুঁ দিয়ে উড়িয়ে দিয়েছে চীন।