নিউজ ডেস্ক: ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলাকারী পর্নতারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলস জানিয়ে দিলেন, তাঁর লড়াই তো সবে শুরু। স্টর্মিকে চুপ করাতে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্টের অ্যাটর্নি থাকাকালীন মাইকেল কোহেন অনেক চেষ্টা করেছিলেন। টাকা দিয়ে মুখ বন্ধ করতে চাওয়ার অভিযোগে জেলও খাটতে হয় তাঁকে। সেই ট্রাম্প-সমর্থকই এখন পর্নতারকার সাক্ষাৎকার নিয়ে হাঁটে হাঁড়ি ভাঙার তালে আছেন। ২০১৬-র রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সময় স্টর্মির সঙ্গে আচরণ নিয়ে ক্ষমাও চেয়েছেন কোহেন।
এদিকে ট্রাম্পের শয্যাসঙ্গিনী হওয়ার ‘বিরক্তিকর’ অভিজ্ঞতা নিয়ে মুখ খুললেন পর্নতারকাটি। বললেন, ‘আমার জীবনের ওই ৯০ সেকেন্ড সবথেকে খারাপ সময়। নিজের প্রতিই এখন ঘৃণা হয় এজন্য।’ এর আগেও এই নয়ে মন্তব্য করেছিলেন স্টর্মি। ২০১৬ সালে তাঁর বই ‘ফুল ডিসক্লোজার’-এ লেখেন, ট্রাম্পের শয্যাসঙ্গিনী হয়ে বিন্দুমাত্র সুখ পাননি তিনি। আর কোনও দিন তাঁর সঙ্গে যৌন সংসর্গ করতে চান না, জানিয়েছেন সে কথাও।
বইতে সেদিনের ঘটনাবলির বিবরণ দিয়েছেন স্টর্মি। একটি গলফ প্রতিযোগিতায় ট্রাম্পের সঙ্গে প্রথম দেখা এবং আলাপ। সেদিন নাকি লাল রঙের টুপি পরে এসেছিলেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট। গলফ টুর্নামেন্টের পর স্টর্মিকে নিজের পেন্টহাউজে ডিনারে আমন্ত্রণ করেন তিনি। এরপরেই হয় দেড় মিনিটের যৌনতা যা আজও জীবনের সবথেকে খারাপ সময় বলে মনে করেন পর্নতারকা। ভাগ্য ভাল এই খারাপ সময় বেশিক্ষণের জন্য স্থায়ী হয়নি!