খুলনা প্রতিনিধিঃ ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগরে স্বামী থাকতেও ৮ বছর ধরে বিধবা ভাতা পাচ্ছেন এক মহিলা। চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
ভাতা বই ও সংশ্লিষ্টদের কথা বলে জানা যায়; ডুমুরিয়া উপজেলার আটলিয়া ইউনিয়নের ৯নং কুলবাড়িয়া ওয়ার্ডের মঠবাড়িয়া গ্রামের তুষার কান্তি ম-ল বর্তমানে একজন মৎস্যজীবি। তথ্যগোপন করে স্বামীকে মৃত দেখিয়ে স্ত্রী গীতা রাণী ম-লের নামে ২০১৩ সালে বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা দুঃস্থ মহিলাদের ভাতার আওতায় বিধবা ভাতার তালিকায় নাম অর্ন্তভুক্ত করেন। সেই অবধি তিনি বিধাব ভাতা উত্তোলন করে আসছেন। তার বই নং ৯। বইতে আরো লেখা উল্লেখ করা হয়েছে মৃত ইসলাম উদ্দীন শেখের স্ত্রী রাশিদা বেগমের পরিবর্তে উক্ত মহিলাকে ভাতা দেয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় সাবেক চেয়ারম্যান মেম্বরদের সাথে কথা বলা হলে তারা বিষয়টি জানেন না বলে জানান।
২০১৩ সালে আটলিয়া ইউপির চেয়ারম্যান ছিলেন শেখ মোঃ বদরুজ্জামান তসলিম। ইউপি সদস্য ছিলেন আব্দুল হালিম মুন্না ও সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য ছিলেন হাসিনা বেগম। এ ব্যাপারে গীতা রানী মন্ডল বলেন; সে সময় অভাব অনটনের কারণে আমরা আবেদন করেছিলাম। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমাকে ভাতা দেয়া হয়।
৯নং কুলবাড়িয়া ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল হালিম মুন্না এ ব্যাপারে কিছইু জানেন না বলে জানান।
সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শেখ মোঃ বদরুজ্জামান তসলিম বলেন; সে সময় আমি চেয়ারম্যান ছিলাম ঠিকই। কিন্তু আমার মেয়ে মারা যাওয়ার কারণে মানুসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছিলাম। এসময় মেম্বররা কিভাবে কি করেছে সেটা আমার মনে নেই।
ইউপি চেয়ারম্যান এ্যাডঃ প্রতাপ কুমার রায় বলেন; বিষয়টি আমরা জানতে পেরেছি এবং আবেদনের মাধ্যমে বইটি বাতিলের ব্যবস্থা করছি।