জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহঃ ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলা পরিষদের উপ-নির্বাচন বর্জন করেছেন বিএনপি প্রার্থী মোঃ হুমায়ুন বাবর ফিরোজ। তিনি রোববার বিকালে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে নির্বাচন বর্জনের কথা জানান। ফেসবুকে তিনি দাবী করেন রোববার সকালে ভোট শুরু হওয়ার পর থেকে আমার নেতাকর্মী ও সমর্থকদেরকে ভোট কেন্দ্রে যেতে বাধা প্রদান ও শনিবার রাতে সরকার দলীয় লোকজন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিভিন্ন নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ভোট কেন্দ্রে যেতে নিষেধ করেন। সব কেন্দ্রে আমার নির্বাচনী এজেন্টদেরকে ঢুুকতে বাধা প্রদান ও যে সব কেন্দ্রে এজেন্টরা ঢুকেছিলো তাদেরকে বের করে দিয়ে নৌকায় সিল মারার মহোৎসব পালন করে। এর প্রমান স্বরুপ তিনি ফেসবুকে প্রকাশ্যে নৌকার সিল মারার ভিডিও সংযুক্ত করেন। ভোটের সাথে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সহযোগীতায় “ভোট ডাকাতির” প্রতিবাদে দলের হাইকমান্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক তিনি ভোট বর্জন করেন বলে উল্লেখ করেন।
ঝিনাইদহের মহেশপুর পৌরসভার বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী এ্যাডভোকেট আমিরুল ইসলাম চুন্নু নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। রোববার দুপুরে তিনি মহেশপুর উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ভোট বর্জন করেন। এ সময় বিএনপির দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। তিনি অভিযোগ করেন, কেন্দ্রে কেন্দ্রে তার এজেন্টদের রেব করে দেওয়া হয়েছে। তার ভোটারদের কেন্দ্রে আসতে বাধা দিয়েছে সরকার দলীয় প্রার্থীর লোকজন। তাছাড়া প্রতিটি কেন্দ্র ও তার আশে-পাশে দলীয় লোকজন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়। বিএনপির সমর্থিত কাউকে আসতে দেখলেই তাকে হুমকি ধামকি দিয়ে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। কেন্দ্রে গিয়ে দেখতে পাই প্রতিটি বুথের ভিতরে নিয়োজিত ব্যক্তি সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করছে। এসব বিষয়ে নির্বাচনে নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, কর্মচারী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা পাইনি। যে কারণে অবাধ, নিরপেক্ষ সুষ্ঠু নির্বাচন হচ্ছে না। যার ফলে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াচ্ছি। উল্লেখ্য, মহেশপুর পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের আব্দুর রশিদ খাঁন, বিএনপির এ্যাডভোকেট আমিরুল ইসলাম চুন্নু ও স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম মোস্তাফা কিরণ প্রতিদ্বন্দিতা করেন। এরমধ্যে বিএনপির প্রার্থী চুন্নু রোববার দুপরে নানা অভিযোগ এনে নির্বাচন বর্জন করেন।