মিলন কুমার, ঝালকাঠি: দক্ষিণ অঞ্চলের ঝালকাঠি জেলায় এখন ১২ মাসই সবজি উৎপাদন হচ্ছে । এই জেলার সদর উপজেলার ৩৬ গ্রামে সবজি চাষে যে বিপ্লব এসেছে তার পিছরন রয়েছেন নারী কৃষকরা।
শীতের সবজি ফুলকপি,বাঁধাকপি, মুলা, লাউ, আলু, শিম, বরবটি, ক্ষীরা, মিষ্টিকুমড়া, টমেটো, শালগম, লাল শাক, পালং শাকে ভরা সেখানের জমি। আর তাদের হাত ধরে পাঁচ হাজার পরিবার এখন কৃষিতে নিয়োজিত।
গ্রামগুলো হলো ভীমরুলি, কৃত্তিপাশা, ডুমুরিয়া, বেশাইনখান, গোপীনাথকাঠি, শংকরধবল, খেজুরা, স্থানসিংহপুর, বেউখির, পাঁঞ্জিপুথিপাড়া, মিরাকাঠি, বহারামপুর, আতাকাঠি, নাগপাড়া, গৈয়া, জগদীশপুর, হিমান্দকাঠি, দাঁড়িয়াপুর, শিমুলেশ্বর,নবগ্রাম, বাউকাঠি, শতদশকাঠি, কাপড়কাঠি, আতা, গাভারামচন্দ্রপুর,আটঘর,কাঁচাবালিয়া,রমজানকাঠি,দোগলচিড়া,বেতরা,বালিগোনা,শাখাকাঠি,গাবখান,দেউরী,রাজাপুর, পশ্চিম ভাওতিতা।
কৃষি বিভাগ জানিয়েছে সদর উপজেলায় রবি মৌসুমে ৩ হাজার একশ হেক্টর জমিতে এবং গ্রীষ্মকালীন সময় এক হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে সবজির আবাদ হয়ে থাকে। রবি মৌসুমে ৪৩ হাজার ৪০০ মেট্রিক টন এবং গ্রীষ্মকালীন সময় ১৩ হাজার ২০০ মেট্রিক টন সবজি উৎপাদন হয় হয়। যা দিয়ে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়।
ঝালকাঠি সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রিফাত সিকদার নিউজ সোনার বাংলা ডট কমকে জানান, কৃষি বিভাগ থেকে সবজি চাষে কৃষকদের কারিগরিসহ সবধরনের সহযোগিতা ও পরামর্শ দেয়া হয়।