মা গো জন্মেছি রণভূমে, মলিন বালিশ নাই
কাথা তবু বিছিয়েছি এই বাংলায়।
জীবন বন্দী কাটায় কভু বিদ্রোহ মোদের নাই।।
স্বপ্ন জীবন নিমেষের লীলাখেলা
কত ভয় সংশয়, মোর তবু নাহি জয়।
জনে জনে লাঠালাঠি,মরিতেছে অহর্নিশি
কেমনে দেখিবে আজ প্রভাতের রবি-
যেখানে রয়েছে রক্তিম কারা সূর্যের দ্বার।
যেখানে ভাসিবে অনন্ত মহিমা ছবি প্রভাতে সোনার রবি
সেখানে আজি জীব-ঘাতী নরদানবের ছায়া।।
জন্মেছি রণভূমে, মুক্তির পথ নাই
ওরে মুক্তির পথ নাই,
আজ আমার জানতে ইচ্ছা হয়
ওরা তো মানুষ নয় কবি!
ওরা শুনিয়াছে কবি গুরুর বাণী,
তবু আনিয়াছে মহৎ মানবিকতায় হানি।।
মা গো জন্মেছি রণভূমে, সত্য সুন্দর মানব পাব না কি তাই?
ওগো তুমি বলে দাও, বলো না আমায়-
কিছু তো বল, বলো না আমায়!
তুমি কি গিয়াছ চলে?না না তা তো নয়!
যত দিন রবে ভুবনময়,
ততদিন জীবিত রবে তুমি কবিতায়।
আমার জীবন যে গো শুধু তুমি-ময়।।
দিন শেষে দিনের বিদায়, মাস শেষে মাসের বিদায়,
ঋতু শেষে ঋতুর বিদায়, বছর শেষে বছরের।
বিদায়! বিদায়! বিদায়!
জন্মেছি রণভূমে বিদায় মোর নাই।
যদিও মুখে বলছি বিদায়
মনে নাহি চাই, বলিতে বিদায়।
পুনরায় আবার আসিয়াছি নবীন-তারুণ্য প্রতিভা নিয়ে এই রণভূমে-
খুলে দাও দ্বার, নাও না বুকে টেনে
ওগো প্রিয়শী জননী মাতা!
দেখ দাড়িয়ে মুক্তিকামী তোমারি তনয়,
দেহখানি তার ভিজিয়া রহিয়াছে রক্তের ফুটায় -ফুটায়।
প্রীতিময় মাতা আজও তুমি খুলিবে’না দ্বার,
রবে কি অভিমান করে?
আজও ফিরে যাই, দুঃখ মোর নাই
কারণ আজও তুমি বাঁচিয়া রয়েছ স্মৃতির পতাকায়!!
ধন্যবাদ নিউজ সোনারবাংলা সম্পাদক মহোদয় ! কবিতা হোক মানব মনের সৌন্দর্যর পতীক!