রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংককে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তথ্য জমা দেওয়া নিয়ে ছলচাতুরীর আশ্রয় নেওয়ায় জনতা ব্যাংককে এই জরিমানা করা হয়।
জরিমানার ব্যাপারে জনতা ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে আপিল করলে তা বাতিল হয়ে যায়।
এ ব্যাপারে জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আবদুছ ছালাম আজাদ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, সময়মতো তথ্য জমা দেওয়া নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে জরিমানা করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যানুসারে, আর্থিক পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের তৈরি ‘ক্যামেলস রেটিং’-এর জন্য ব্যাংকগুলোকে প্রতিবছরের তথ্য ৩১ জানুয়ারির মধ্যে জমা দিতে হয়। কিন্তু এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানতে চাইলে তথ্য জমা না দিয়েও জনতা ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তথ্য জমা দেওয়া হয়েছে।
পরবর্তী সময়ে তদন্ত করে দেখা যায়, তথ্য জমা দিতে ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুছ ছালাম আজাদ ৬ ফেব্রুয়ারি নথিতে স্বাক্ষর করেন। এরপরও ব্যাংকটির কর্মকর্তারা প্রয়োজনীয় তথ্য জমা দেননি।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাংকটিকে কেন জরিমানা আরোপ করা হবে না তা জানতে চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক চিঠি দেওয়ার পর মার্চের প্রথম সপ্তাহে ব্যাংকটি তথ্য পাঠায়। তবে নথিপত্রে তারিখ ছিল ৬ ফেব্রুয়ারি। এ নিয়ে ব্যাংকটি যথাযথ জবাব দিতে পারেনি। এরপরই ব্যাংকটিকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৩ মার্চ জনতা ব্যাংক জরিমানা মওকুফের আবেদন করে। তবে ১৭ মার্চ অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় সেই আবেদন নাকচ হয়ে যায়।
উল্লেখ্য, রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মধ্যে জনতা ব্যাংক রয়েছে সবচেয়ে বড় সংকটে। অ্যাননটেক্স ও ক্রিসেন্ট গ্রুপের খেলাপি ঋণের চাপ নিয়ে ব্যাংকটি এখন বড় সমস্যার মধ্যে আছে। এতে একরকম থমকে গেছে ব্যাংকটির ব্যবসা। অথচ একসময় জনতা ব্যাংক ছিল দেশের সব শিল্পগোষ্ঠীর ঋণের ঠিকানা। এখন হয়েছে শীর্ষ খেলাপিদের ঠিকানা।