নিউজ ডেস্ক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন দেশে ভ্যাকসিনের চাহিদা মেটাতে চীন ও রাশিয়া থেকে করোনাভাইরাসের টিকা কেনা হবে জানিয়ে বলেন, ‘চীন ৬ লাখ উপহার হিসেবে দেবে প্রথমে। বাকিটা পয়সা দিয়ে কিনে আনবো।’
এর আগে রাশিয়া ও চীন থেকে টিকা আনার চেষ্টা করা হলেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিডএইচও) এর অনুমোদন না থাকায় পিছিয়ে এসেছিল সরকার। এখন সে অবস্থান পাল্টেছে জানিয়ে মোমেন বলেন, ‘চীন বলছে, আমাদের ভ্যাকসিন ডব্লিউএইচও কখন অনুমোদন দিবে আমরা জানি না। তবে ১০০ মিলিয়নের বেশি লোক এটা ব্যবহার করেছে, ৮০টা দেশে আমরা রপ্তানি করেছি। ৬৩ দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান এটা গ্রহণ করেছে। কারও কোনো অসুবিধা হয় নাই, এটাই একটা প্রমাণ। আবার যেসব দেশ টিকা নিয়ে গেছে, ডব্লিউএইচও তাতে কিছু মনে করেনি।”
অনেকেরই কৌতুহল, কোন কোন দেশ চীনা টিকা ব্যবহার করছে। মার্চের শেষ দিকে চাইনিজ গ্লোবাল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক (সিজিটিএন) এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
সেখানে একটি তালিকায় ৪৮ টি দেশের নাম রয়েছে যার মধ্যে ইউরোপের দেশ ৫ টিঃ বেলারুশ, হাঙ্গেরি, মন্টেনেগ্রো, সার্বিয়া ও তুরস্ক। মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ৩ টিঃ বাহরাইন, জর্ডান ও আরব আমিরাত।
ল্যাটিন আমেরিকার দেশ রয়েছে ১১ টিঃ আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, বলিভিয়া, চিলি, কলম্বিয়া, ডমিনিকা, ডমিনিকান রিপাবলিক, গায়ানা, মেক্সিকো, পেরু ও উরুগুয়ে।
এশিয়ার দেশও ১১ টিঃ আজারবাইজান, ব্রুনেই, কম্বোডিয়া, ইন্দোনেশিয়া, কিরগিজিস্তান, লাওস, মঙ্গোলিয়া, মালয়েশিয়া, ফিলিপিন্স, পাকিস্তান ও থাইল্যান্ড।
বাকি ১৮ টি দেশ আফ্রিকারঃ আলজেরিয়া, বেনিন, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, ক্যামেরন, কমোরোস, জিবুতি, মিশর, ইকোটোরিয়াল গিনি, গ্যাবন, গিনি, মরক্কো, মোজাম্বিক, নামিবিয়া, নাইজার, সেনেগাল, সিশেলস, সিয়েরা লিওন ও জিম্বাবুয়ে।