সূত্র: বিবিসি: গুগল হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন। কিন্তু কীভাবে শুরু হয়েছিল এই গুগলের যাত্রা? কার মাথায় এসেছিল এমন একটা কিছু চালু করার চিন্তা?
এর সূচনা করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্র – যারা তখন পিএইচডি করছিলেন। তাদের নাম ল্যারি পেজ আর সের্গেই ব্রিন।
এ দু’জনের হাতেই সৃষ্টি হয়েছিল গুগলের – যা এখন পৃথিবীর অন্যতম মূল্যবান কোম্পানি।
গুগলের ওই দুই প্রতিষ্ঠাতার সাথে একই সময় স্ট্যানফোর্ডে ছিলেন তামারা মাঞ্জনার – একজন কম্পিউটার বিজ্ঞানী ।
কীভাবে তার দুই বন্ধু ল্যারি আর সের্গেই ইন্টারনেটের প্রথম যুগে একটা নতুন ধরনের সার্চ ইঞ্জিনের আইডিয়া নিয়ে এসেছিলেন – তারই স্মৃতিচারণ করেছেন তামারা মাঞ্জনার, বিবিসির ফারহানা হায়দারের কাছে।
এ নিয়েই ইতিহাসের সাক্ষীর এ পর্ব।
বৈপ্লবিক পরিবর্তন
সেটা ১৯৯০ দশকের মাঝামাঝি। স্ট্যানফোর্ডের দুজন পোস্টগ্র্রাজুয়েট ছাত্রের মাথায় এমন একটা আইডিয়া এলো – যা পরে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন নিয়ে এসেছিল ইন্টারনেটের জগতে।
সের্গেই ব্রিন বলেন, “আমাদের সবসময়ই মনে হয়েছিল যে এরকম একটা উদ্যোগের ব্যবসায়িক সম্ভাবনা আছে। কিন্তু সে সময়টা আমাদের চিন্তা ছিল একটা খুব ভালো সার্চ ইঞ্জিন তৈরি করা, এবং যত বেশি সম্ভব লোকের কাছে তা পৌঁছানো।”
ল্যারি পেজের কথায়, “আমাদের মিশন ছিল বিশ্বের তথ্যকে সুবিন্যস্ত করা, যেখানে সারা দুনিয়ার লোক ঢুকতে পারবে, সবার উপকার হবে। আমার মনে হয়েছিল সারা পৃথিবীর জন্য এটা একটা দারুণ ব্যাপার হবে। “
সেসময় পেজ ও ব্রিনের সাথেই স্ট্যানফোর্ডে পিএইচডি করছিলেন আরেকজন ছাত্রী – যার নাম তামারা মাঞ্জনার।
তামার বলছিলেন, “ল্যারি খুব হাসতো। ও ছিল খুব বুদ্ধিমান, কিন্তু মজার। আর সের্গেই ছিল একটু সিরিয়াস। কিন্তু দু’জনেরই মধ্যে এরকম একটা ভাব ছিল যে – ‘আমরা আমাদের মত করে কাজটা করতে চাই’।”
“এটা হয়তো তাদের ব্যক্তিত্বের একটা অংশ ছিল এবং এ জন্যই গুগল এত অন্যরকম একটা জায়গা হয়ে উঠতে পেরেছে।”