ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধাঃ নদী বিধৌত জেলা গাইবান্ধার বুকচিরে বয়ে গেছে তিস্তা-বহ্মপুত্র-যমুনাসহ আরও বেশ কিছু নদ-নদী। সম্প্রতি উজানের পানির ঢল বৃদ্ধির সঙ্গে শুরু হয়েছে তীব্র ভাঙন। ইতোমধ্যে বিলীন হয়েছে কৃষি জমি ও ঘরবাড়ি। অব্যাহত এই ভাঙনের আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন তীরবর্তী বাসিন্দারা।
সম্প্রতি গাইবান্ধার সদরসহ অন্যান্য উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে দেখা গেছে নদী ভাঙনের ভয়াবহ দৃশ্য। এতে নদীর তীরে বসবাসকারি মানুষদের মধ্যে চরম আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, গাইবান্ধা সদরের কামারজানি ইউনিয়নের কড়াইবাড়ি থেকে গিদারী ইউনিয়নের ডাঙ্গারঘাট হয়ে ঠাকুরের ভিটা নামকস্থান পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্র নদে প্রায় এক কিলোমিটার ভাঙন দেখা দিয়েছে। সেই সঙ্গে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার লালচামার বাজারের উজানে অব্যাহত ভাঙনে নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে কৃষি জমি। হুমকির মুখে পড়েছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ।
তারা বলেন, নদীর তীর সংরক্ষণে পানি উন্নয়ন বোর্ডের আপদকালীন কাজ বাস্তবায়নে অনুরোধ জানানো হচ্ছে। অন্যথায় নদী তছনছ হয়ে যাবে মানুষের সহায় সম্বল।
এছাড়া ফুলছড়ি উপজেলার জিয়াডাঙ্গা, মুন্সিপাড়া, দাড়িয়াভিটা ও কটিয়ারভিটা, উত্তর উড়িয়াসহ আরও বেশ কিছু জায়গায় তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনের কবলে পড়ে মানুষ হারাচ্ছে ঘরবাড়ি ও আবাদী জমি। কেউ কেউ অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে বাপ-দাদার বসতবাড়ি। ঝুঁকির সম্ভাবনায় রয়েছে কয়েকটি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। রাক্ষুসি নদীর বেপরোয়া আচরণে অনেকে নিঃস্ব হয়ে পথে বসেছে। ভাঙন এলাকার আশপাশের কিছু সংখ্যক সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করাসহ বিভিন্ন আন্দোলন করে চলেছে এলাকাবাসী। ইতোমধ্যে জেলার দায়িত্বশীল ব্যক্তিরাও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু রায়হান জানান, ভাঙন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে আপতত জিওব্যাগ ড্যাম্পিং ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়া স্থায়ী সমাধানের পরিকল্পনা নেওয়া হবে।