সম্প্রতি দেশে মাদকের ধরন ও সরবরাহের গতিপথে এসেছে পরিবর্তন। কিছুদিন পরপরই নতুন মাদকের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে। এবার জানা গেছে নতুন এক মাদকের নাম। এটি ‘ঝাক্কি’, ‘ঝাক্কি মিক্স’, ‘ককটেল মাদক’ নামে পরিচিত।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ভয়াবহ মাদক আইস ও ইয়াবায় যতটা না নেশা হয়, তার চেয়ে অনেক বেশি নেশা হয় ঝাক্কি সেবনে। ইয়াবা ও আইস সেবনে ‘একঘেয়েমি’ হওয়ায় নতুন এ মাদকে ঝুঁকছে মাদকসেবীর। তাই এ মাদককে ঘিরে নতুন আগ্রহের জন্ম নিয়েছে তরুণ মাদকসেবীদের মাঝে।
র্যাব বলেছে, বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তানরা এসব মাদকের নিয়মিত গ্রাহক এবং তাদের অনেকে এটি বেচা-কেনায় জড়িত। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার ভোর পর্যন্ত রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে ঝাক্কি তৈরি, বিক্রি ও সেবনে জড়িত একটি চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেফতার করে র্যাব।
র্যাব কর্মকর্তারা জানান, কয়েকটি মাদক ও ওষুধের মিশ্রণে ঝাক্কি তৈরি করা হয়। যার ভয়াবহতা ইয়াবার চেয়েও বেশি। এ মাদক একবার সেবনের পর দুই থেকে তিনদিন পর্যন্ত একজন মানুষের নেশাগ্রস্ততা কিংবা ঘুম ঘুম ভাব থাকতে পারে। সংমিশ্রিত মাদক ‘ঝাক্কি’র সিংহভাগ ক্রেতা অলস সময় পার করতে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ-তরুণীরা।
র্যাব জানায়, ঝাক্কি সেবনের ফলে অনিদ্রা, অতি উত্তেজনা, স্মৃতিভ্রম, মস্তিষ্ক বিকৃতি, স্ট্রোক, হৃদরোগ, কিডনি ও লিভার জটিলতা, মানসিক অবসাদ ও বিষণ্ণতা দেখা দিতে পারে। শারীরিক ও মানসিক উভয়ক্ষেত্রে এটি নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এই মাদক প্রচলনের ফলে তরুণ-তরুণীদের মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এবং তাদের মধ্যে অস্বাভাবিক আচরণ পরিলক্ষিত হচ্ছে।