কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামে পানি উন্নয়ন বোর্ড নিয়োজিত ঠিকাদারের কাছে দাবীকৃত চাঁদা না পেয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগের একজন কার্যসহকারীসহ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের তিনজন কে বেধরক পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে সন্ত্রাসীরা। আহতদের কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
আজ শনিবার (২৬ জুন) আনুমানিক সকাল সারে ১০টার দিকে জেলার সদর উপজেলার মোগলবাসা ইউনিয়নের ভাটলার পাড় স্লুইচগেট এলাকায় এ সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সরকারি কাজে বাধা প্রদান, চাঁদাবাজী ও মারধরের অভিযোগ এনে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম নিজে বাদী হয়ে একজন সাবেক ইউপি সদস্যসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।
অভিযোগে জানাযায়, সদর উপজেলার মোগলবাসা ইউনিয়নে জসিম উদ্দিনের মোড় থেকে ভাটলার পাড় স্লুইসগেট পর্যন্ত ৩ দশমিক ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ধরলা নদীর তীর সংরক্ষন কাজ অব্যাহত রয়েছে। রংপুরের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ২ মাস আগে কাজ শুরুর পর থেকেই স্থানীয় বাসিন্দা শাহ জামাল, সাবেক ইউপি সদস্য আজিজুল ইসলাম ও এরশাদুলসহ ৭/৮জনের একটি গ্রুপ ঠিকাদারের লোক জনের কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করেন। এমনকি তারা চাঁদা না পেলে কাজ বন্ধ করে দেয়ার হুমকী দিয়ে আসছিল বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে শনিবার সকাল আনুমানিক সারে ১০টার দিকে মোগলবাসা বাজার সংলগ্ন ভাটলারপাড় স্লুইচগেট এলাকায় কাজ চলা কালে সন্ত্রাসীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজে বাঁধা প্রদান করেন। এসময় প্রকল্পের কাজে নিয়োজিত পানি উন্নয়ন বোর্ডের কার্য সহকারী শারাফাত আলী বাঁধাদান কারীদের নিকট কাজ বন্ধ করার কারন জানতে চান।
এতেই ক্ষিপ্ত হয় সন্ত্রাসীরা, তারা মহুরতের মধ্যে সাবেক ইউপি সদস্য আজিজুল ইসলামের নির্দেশে অভিযুক্ত শাহজামাল,এরশাদুলহকসহ ৭/৮ জন লাঠিসোঠা নিয়ে কার্যসহকারী শারাফাত আলীর (৫০) উপর হামলা চালায়। এ সময় তার চিৎকারে প্রকল্পের শ্রমিক আব্দুস ছালাম, শামসুল হক ও রানা এগিয়ে গেলে তাদেরকেও এলোপাতারীভাবে মারধর করে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে আহত করেন। আহতদের বর্তমানে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে ।
এদিকে অভিযুক্তরা দাবি করেছে, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিয়োজিত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজন স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলীদের সাথে যোগসাজশ করে প্রকল্পের শুরু থেকে নিম্নমানের পাথর, সিমেন্ট ও বালু ব্যবহার করায় এলাকার কাজ একদম নিম্নমানের হচ্ছে। এসব ব্যাপারে বাধাদিলে কাজে নিয়োজিত ব্যাক্তিরা ক্ষিপ্ত হতো। ভবিষ্যতে কেউ যাতে কাজের গুনগত মান নিয়ে কোন প্রশ্ন তুলতে না পারেন এ জন্য পরিকল্পিতভাবে স্থানীয় লোকজনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার অবতারণা করেছেন। তারা ইতিমধ্যে যে সমস্ত কাজ হয়েছে তার গুনগত মান পরীক্ষার দাবি জানান।
এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম জানান, সরকারী কাজে বাঁধা প্রদান, চাঁদাদাবী ও সরকারী কর্মচারীকে হত্যার উদ্দিশ্যে হামলার ঘটনায় আমি বাদী হয়ে সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।
কুড়িগ্রাম সদর থানার অফিসার ইনচার্জ খান মো: শাহরিয়ার জানান, অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। #