হাফিজ সেলিম , কুড়িগ্রামঃ কুড়িগ্রামে সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত কলেজ শিক্ষক ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আহত আতাউর রহমান মিন্টুর পরিবার বর্বরোচিত এ হামলার প্রতিবাদ ও ঘটনার সাথে জড়িত দোষী ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে ।
শনিবার দুপুরে সদর উপজেলার কাঁঠালবাড়ী বাজার সংলগ্ন কলেজ শিক্ষকের বাড়ীতে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন মিন্টুর পিতা আলতাফ হোসেন, স্ত্রী নওরিন আক্তার, মা আম্বিয়া বেগম, ভাই আশরাফুজ্জামান রাজু ও আফতাবুজ্জামান সাজুসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা।
সংবাদ সম্মেলনে মিন্টুর পিতা আলতাফ হোসেন বলেন, সন্ত্রাসীরা দীর্ঘদিন ধরে আমার ছেলে আতাউর রহমান মিন্টুর নিকট চাঁদা দাবী করে আসছিল। শুধু তাই নয় তারা নানা ভাবে আমাদের পরিবারের সদস্যদের হুমকী-ধামকি দিয়ে আসছিল। এরই এক পর্যায়ে গত ১৬ মার্চ দুপর বেলা মিন্টু রাজারহাট উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নের পালপাড়ার সড়ক দিয়ে মোটরসাইকেলে যাওয়ার সময় আগে থেকে ওত পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা হত্যার উদ্দেশ্যে আমার ছেলের উপর হামলা চালিয়ে ডান হাতের কবজি কর্তনসহ বাম হাত ও দুই পায়ে কুপিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। সে বর্তমানে ঢাকায় গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আহত মিন্টুর পিতা আরো জানান, এ ঘটনায় রাজারহাট থানায় ১১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দেয়া হলেও পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার করে ন্যায় বিচারের দাবী জানান তিনি।
এছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে আতাউর রহমান মিন্টুর স্ত্রী নওরিন আক্তার ও মা আম্বিয়া বেগম এ ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করে সুষ্ঠ বিচারের দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
উল্লেখ্য গত ১৬ মার্চ দুপুরে জেলার রাজারহাট উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নের পালপাড়া এলাকায় সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন ছাত্রলীগের সাবেক নেতা আতাউর রহমান মিন্টু। এতে তার ডান হাতের কবজি শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং অপর হাত ও দুই পা গুরুতর জখম হয়। বর্তমানে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় গত ১৮ মার্চ মিন্টুর বাবা আলতাফ হোসেন রাজারহাট থানায় নিজে বাদীহয়ে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়নের বাসিন্দা মেহেদী হাসান বাঁধনসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। তবে ঘটনার চার দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ অভিযুক্ত কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি। আতাউর রহমান মিন্টু কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাফর আলীর আপন ভাগ্নে হন।