কুষ্টিয়া সংবাদদাতা: কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা দখল করে পাকা বসতবাড়ি ও পাকা মার্কেট নির্মাণসহ একাধিক জায়গা দখলের বিস্তর অভিযোগ উঠেছে রুহুল আমিন এর উপর।
কুষ্টিয়া সদর উপজেলার পাটিকাবাড়ি ইউনিয়নের নলকোলা গ্রামের সেলিম মন্ডল ও তার ছেলে রুহুল আমিন জোরপূর্বক এবং অবৈধভাবে কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা দখল করে এই স্থাপনা করেছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন এলাকাবাসি।
সরেজমিনে দেখা যায়, পানি উন্নয়ন বোর্ডের জি,কে ক্যানেলের উপরে (অর্ধ ক্যানেলের জায়গার উপরে) কলমদ্বারা নির্মিত ৫টি দোকানসহ আরো কিছু দোকান নির্মাণ কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। শুধু তাই নয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রায় ১.১/২ (দেড় বিঘা) জমি দখল করে পাকা বসতবাড়ি নির্মাণ করেছেন সেলিম মন্ডল ও তার ছেলে রুহুল আমিন। এতেই তারা ক্ষান্ত হননি, পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা দখল করে ধানের আবাদও করেন তারা।
এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গার উপরে পাকা স্থাপনা করার ব্যাপারে সাক্ষাৎকারে কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ শাহ আলম প্রতিবেদককে বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড কখনো ক্যানেল এর উপরে পাকা মার্কেট নির্মাণের অনুমতি দেয় না। তিনি অবশ্যই অবৈধ দখল করে আছেন। এটা অন্যায় এবং এর সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
একইভাবে কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী/শাখা কর্মকর্তা (পুর) মোঃ আশিকুর রহমান ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী/শাখা কর্মকর্তা (পুর) পিয়াস চন্দ্র চৌধুরী প্রতিবেদককে বলেন, কখনো পানি উন্নয়ন বোর্ড তার জায়গার উপরে পাকা বসতবাড়ি নির্মাণ এবং পাকা মার্কেট নির্মাণের অনুমতি প্রদান করেনা। তাকে অবশ্যই লিজের কাগজ দেখাতে হবে। লিজের কাগজে কি উল্লেখ আছে সেটা অবশ্যই তাকে দেখাতে হবে। এবং তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অভিযোগের ব্যাপারে কথা বললে রুহুল আমিন সাংবাদিকদের জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে আমার লিজ কাটা আছে। কিন্তু পানি উন্নয়ন বোর্ডের লিজের কাগজ (ডিসিআর) দেখাতে ব্যর্থ হন রুহুল আমিন। এক পর্যায়ে রুহুল আমিন সাংবাদিকদের বলেন, “আমি কাউকে কাগজ দেখাতে বাধ্য না। আমাকে নিয়ে যারা অভিযোগ করেছে তাদের নাম বলেন আমি আপনাদের খরচের ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। আমাকে নিয়ে যারা অভিযোগ করেছে তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না”