সনত চক বর্ত্তী ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি: এক সময় গ্রামের মানুষদের একমাত্র বাহন ছিল গরুর গাড়ি। সেটি খুব বেশি সময় আগের কথা নয়। ২০-২৫ বছর আগেও এইসব গরুর গাড়ির কদর ছিল অনেক বেশি। কিন্তু আধনিুকতার সাথে সাথে এবং কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে গরুর গাড়ি। এখন আর তেমন বেশি গরুর গাড়ি দেখা যায় না। আর যা দু-একটি দেখা যায় তা আবার গৃহস্থালি তার নিজেদের জন্য ব্যবহার করে থাকে।
এক সময় ইতিহাস ঐতিহ্যবাহী ভরপুর ছিল ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলা এই উপজেলাতে প্রচুর পরিমাণ গরুর গাড়ি ও ঘোড়ার গাড়ি দেখা যেত। তখনকার দিনে গ্রাম বাংলায় নতুন ধান কাটার সময় গরুর গাড়ি ও ঘোড়ার গাড়ির ব্যবহার ছিল নিত্য নৈমিত্তিক ব্যপার।
তখনকার সময়ের মানুষ কল্পনা করতে পারেনি গরুর গাড়ির ব্যবহার বন্ধ হয়ে যাবে, ইট-পাথরের মত মানুষও হয়ে পড়েছে যান্ত্রিক মানুষ। মানুষ তার নিজস্ব ঐতিহ্য হারিয়ে ফেলবে।
যোগাযোগ ও মালামাল বহনের প্রধান বাহন গরুর গাড়ি ও ঘোড়ার গাড়ি কালের বিবর্তনে দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। গরুর গাড়ির ও ঘোড়ার গাড়ির স্থান দখল করে নিয়েছে সাইকেল, ভ্যান, বাস, মাইক্রোগাড়ী, অটোরিকশা, নছিমন, করিমন, ভটভটি ইত্যাদি।
তৎকালিন সময়ে,সব শ্রেণির মানুষ গরুর গাড়ির ও ঘোড়ার গাড়ির উপর নির্ভরশীল ছিল। এখন আধুনিকতার ছোঁয়াতে উন্নয়ন এর কারণে শহরের ছেলে-মেয়েরা দূরের কথা, বর্তমানে গ্রামের অনেক ছেলে-মেয়েরাও গরুর গাড়ি শব্দটির সাথে পরিচিত নয়। বেশির ভাগ রাস্তাঘাট পাকা হওয়ার কারণে গরুর গাড়ি ঘোড়ার গাড়ি আর চালানো সম্ভব হয় না। তবে গ্রামের কিছু এলাকায় রাস্তাঘাট ভালো না থাকায় যাতায়াত বা পণ্য পরিবহনের জন্য গরুর বা ঘোড়ার গাড়ি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
তবে আগামী দিনে গ্রামাঞ্চালের রাস্তা ঘাটের উন্নয়ন হলে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী এই গরুর গাড়িগুলো আগামী প্রজন্ম হয়তো আর দেখতে পাবে না। এমন এক সময় আসবে যখন আর কোন গরুর গাড়ি অবশিষ্ট থাকবে না। গরুর গাড়ি বা ঘোড়ার গাড়ি শুধুই ইতিহাস হয়ে থাকবে।
আগেকার দিনে মানুষেরা বিয়ে-সাদি থেকে শুরু করে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাতায়াত করতো গরু বা ঘোড়ার গাড়ির মাধ্যমে। বোয়ালমারী উপজেলা মানুষেরা মালামাল বহন, কৃষকদের ধান বহনকারী একমাত্র ধারক বাহক ছিল গরু বা ঘোড়ার গাড়ি। এমন কি নতুন বৌ আনা-নেয়া করা হত গরু বা ঘোড়ার গাড়িতে করে। অনুষ্ঠানে পরিবার পরিজন নিয়ে এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে মেলা দেখতে যাওয়া গরু বা গাড়িতে বসে।এসময় গাড়িওয়ালার গাড়ি চলার সাথে সাথে শুরু করতো ভাটিয়ালী গান, সে যেন এক অন্যরকম অনুভূতি।
কিন্তু বর্তমান গ্রাম বাংলা থেকে গরু বা ঘোড়ার গাড়ি হারিয়ে যাওয়ায় এসব অনুভূতি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বর্তমান যুগের ছেলেমেয়েরা। আধুনিকতার প্রবাহে ইতিহাস-ঐতিহ্যের অনেক কিছু আমরা হারাচ্ছি। আমাদের জীবন থেকে হারাচ্ছে এ রকম নানা ঐতিহ্য।এক সময় গ্রামের মানুষদের একমাত্র বাহন ছিল গরুর গাড়ি। সেটি খুব বেশি সময় আগের কথা নয়। ২০-২৫ বছর আগেও এইসব গরুর বা ঘোড়ার গাড়ির কদর ছিল অনেক বেশি। কিন্তু আধনিুকতার সাথে সাথে এখন কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে গরুর গাড়ি। এখন আর তেমন বেশি গরুর গাড়ি দেখা যায় না। আর যা দু-একটি দেখা যায় তা আবার গৃহস্থালি তার নিজেদের জন্য ব্যবহার করে থাকে।
এক সময় ইতিহাস ঐতিহ্যবাহী ভরপুর ছিল ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলা এই উপজেলাতে প্রচুর পরিমাণ গরুর গাড়ির ও ঘোড়া গাড়ির দেখা যেত। তখনকার দিনে গ্রাম বাংলায় নতুন ধান কাটার সময় গরুর গাড়ি ও ঘোড়ার গাড়ির ব্যবহার ছিল নিত্য নৈমিত্তিক ব্যপার।
তখনকার সময়ের মানুষ কল্পনা করতে পারেনি গরুর গাড়ির ব্যবহার বন্ধ হয়ে যাবে, ইট-পাথরের মত মানুষও হয়ে পড়েছে যান্ত্রিক মানুষ। মানুষ তার নিজস্ব ঐতিহ্য হারিয়ে ফেলবে।
যোগাযোগ ও মালামাল বহনের প্রধান বাহন গরুর গাড়ি কালের বিবর্তনে দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। গরুর গাড়ির স্থান দখল করে নিয়েছে সাইকেল, ভ্যান, বাস, মাইক্রোগাড়ী, অটোরিকশা, নছিমন, করিমন, ভটভটি ইত্যাদি।
তৎকালিন সময়ে,সব শ্রেণির মানুষ গরুর গাড়ির ও ঘোড়ার গাড়ির উপর নির্ভরশীল ছিল। এখন আধুনিকতার ছোঁয়াতে উন্নয়ন এর কারণে শহরের ছেলে-মেয়েরা দূরের কথা, বর্তমানে গ্রামের অনেক ছেলে-মেয়েরাও গরুর গাড়ি শব্দটির সাথে পরিচিত নয়। বেশির ভাগ রাস্তাঘাট পাকা হওয়ার কারণে গরুর গাড়ি আর চালানো সম্ভব হয় না। তবে গ্রামের কিছু এলাকায় রাস্তাঘাট ভালো না থাকায় যাতায়াত বা পণ্য পরিবহনের জন্য গরুর বা ঘোড়ার গাড়ি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
তবে আগামী দিনে গ্রামাঞ্চালের রাস্তা ঘাটের উন্নয়ন হলে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী এই গরুর গাড়িগুলো আগামী প্রজন্ম হয়তো আর দেখতে পাবে না। এমন এক সময় আসবে যখন আর কোন গরুর গাড়ি বা ঘোড়ার গাড়ি অবশিষ্ট থাকবে না। গরু বা ঘোড়ার গাড়ি শুধুই ইতিহাস হয়ে থাকবে।গরু গাড়ি দুই চাকাবিশিষ্ট গরু বা বলদে টানা এক প্রকার বিশেষ যান। এ যানে সাধারণত একটি মাত্র অক্ষের সাথে চাকা দুটি যুক্ত থাকে। গাড়ির সামনের দিকে একটি জোয়ালের সাথে দুটি গরু বা বলদ জুটি মিলে গাড়ি টেনে নিয়ে চলে। সাধারণত চালক বসেন গাড়ির সামনের দিকে। আর পেছনে বসেন যাত্রীরা। বিভিন্ন মালপত্র বহন করা হয় গাড়ির পেছন দিকে। বিভিন্ন কৃষিজাত দ্রব্য ও ফসল বহনের কাজে গরুর গাড়ির প্রচলন ছিল ব্যাপক।জানা গেছে, গরুর গাড়ির ইতিহাস সুপ্রাচীন। খ্রীষ্টজন্মের ১৫০০ – ১৬০০ বছর আগেই সিন্ধু অববাহিকা ও ভারতীয় উপমহাদেশের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে গরুর গাড়ির প্রচলন ছিল। যা সেখান থেকে ক্রমে ক্রমে দক্ষিণেও ছড়িয়ে পড়ে। গ্রাম বাংলায় এ ঐতিহ্য আজ তা হারিয়ে যেতে বসেছে।
আগেকার দিনে মানুষেরা বিয়ে-সাদি থেকে শুরু করে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাতায়াত করতো গরুর গাড়ির মাধ্যমে। বোয়ালমারী উপজেলা মানুষেরা মালামাল বহন, কৃষকদের ধান বহনকারী একমাত্র ধারক বাহক ছিল গরুর গাড়ি। এমন কি নতুন বৌ আনা-নেয়া করা হত গরুর গাড়িতে করে। অনুষ্ঠানে পরিবার পরিজন নিয়ে এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে মেলা দেখতে যাওয়া গরুর গাড়িতে বসে গাড়িওয়ালার ভাটিয়ালী গান শোনা সে যেন এক অন্যরকম অনুভূতি।
কিন্তু বর্তমান গ্রাম বাংলা থেকে গরুর গাড়ি হারিয়ে যাওয়ায় এসব অনুভূতি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বর্তমান যুগের ছেলেমেয়েরা। আধুনিকতার প্রবাহে ইতিহাস-ঐতিহ্যের অনেক কিছু আমরা হারাচ্ছি। আমাদের জীবন থেকে হারাচ্ছে এ রকম নানা ঐতিহ্য। বোয়ালমারী সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কবি, আবৃতিকার গাজী শামসুজ্জামান খোকন বলেন, তখন কার দিনে যোগাযোগ এর এক মাত্র বাহন ছিল গরু বা ঘোড়ার গাড়ি। আমরা ছোট বেলায় গরু বা ঘোড়ার গাড়িতে করে আত্মীয় বাড়িতে বেড়াতে গেছি, এখন কালের বিবর্তনে আজ হারিয়ে যেতে বসেছে। তাই গ্রাম বাংলার সংস্কৃতির ঐতিহ্য ধরে রাখতে সকালে এগিয়ে আসা উচিত।