মোঃ গোলাপ মিয়া আদিতমারী ( লালমনিরহাট) প্রতিনিধিঃ লালমনিরহাটে কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা ডায়াগনোষ্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপক পারভেজ হোসাইন (২৯) কে স্থানীয় জনতা আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করলেন ।
মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারী) দুপুরের প্রেমিকা বাদী হয়ে আদিতমারী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।এর আগে, সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারী) আদিতমারী উপজেলার পলাশ ইউনিয়নে টেপা পলাশী এলাকা প্রেমিকার বাড়ি থেকে প্রেমিক পারভেজ হোসাইন কে হাতেনাতে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে স্থানীয় জনগণ।আটক পারভেজ হোসাইন (২৯) নীলফামারীর ডোমার উপজেলার বোরাগাড়ী মধ্যপাড়া গ্রামের ছপিয়ার রহমানের ছেলে। তিনি কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা ডায়াগনোষ্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপক পদে কর্মরত ছিলেন ।পুলিশ সূত্র ও স্থানীয়রা জানান, কাকিনা ডায়াগনোষ্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপক পদে কর্মরত থাকার সুবাদে একই প্রতিষ্ঠানের চিকিৎসকের সহকারী এক মেয়ের (২৬) সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন পারভেজ হোসাইন। সেই সুবাদে বিয়ের প্রলোভনে দু’জনে বিভিন্ন স্থানে বেড়াতে যাওয়ার অজুহাতে দৈহিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। দীর্ঘ ৪ বছর অতিবাহিত হলেও বিয়ের কোন ব্যবস্থা না করে দৈহিক সম্পর্ক অব্যহত রাখেন প্রেমিক পারভেজ হোসাইন। বিয়ের জন্য চাপ দিলে কাল বিলম্ব করে কাটিয়ে দেন।
সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারী) দিবাগত রাতে প্রেমিকার সাথে দেখা করতে তার বাড়ি পলাশী ইউনিয়নে টেপা পলাশী গ্রামে যান পারভেজ হোসাইন। দ্রুত বিয়ের আশ্বাস দিয়ে মেয়েটির ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। এ সময় মেয়েটির আত্নচিৎকারে বাড়ির লোকজন ও প্রতিবেশীরা এসে ধর্ষক পারভেজ হোসাইনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারী) দুপুরের পর নির্যাতিত মেয়ে বাদী হয়ে ধর্ষক পারভেজ হোসাইনের বিরুদ্ধে আদিতমারী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন । আটক পারভেজ হোসাইন কে উক্ত অভিযোগে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।আদিতমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোক্তারুল ইসলাম বলেন মেয়ের অভিযোগে ভিত্তিতে পারভেজ কে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। নির্যাতিত মেয়েকে ধর্ষণের পরীক্ষার জন্য লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে ।