আদিতমারীতে গৃহবধূর ডিভোর্সের দেনমোহরানার টাকা ভাগ বাটোয়ারা করার অভিযোগ
মোঃ গোলাপ মিয়া লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি
Update :
মঙ্গলবার, ১৬ মে, ২০২৩, ৭:৫৪ অপরাহ্ন
Share
মোঃ গোলাপ মিয়া লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার কমলাবাড়ী ইউনিয়নের কাছারী ঘাট এলাকার আক্তার হোসেনের মেয়ে আছমা বেগমের বিয়ে হয় কালিগঞ্জ উপজেলা কাকিনা ইউনিয়নের আলামিন নামে এক গার্মেন্টস কর্মীর কাছে । তাদের বিয়ে হয়ে এক বছর পূর্বে বিয়ের কিছুদিন যেতেই বিভিন্ন সমস্যা জর্জরিত হয়ে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বিবাদ সংসারের অশান্তি সৃষ্টি হয়ে আসছে।এক পর্যায়ে ছেলে ঢাকা হতে তার ভাইরা বাড়ী আদিতমারী উপজেলার কমলাবাড়ী ইউনিয়নের হাজীগঞ্জ চৌপতি কালুটারী গ্রামে স্ত্রীর কাছে চলে আসেন।বেশ কিছুদিন যাবত আছমা বেগম তার দুলাভাইয়ের বাড়ীতে থাকছেন । ছেলে তার স্ত্রী কাছে ভাইরা বাড়ীতে আসলে হঠাৎ করে তার স্ত্রী ও দুলাভাই মিলে ছেলেকে ৩ দিন ধরে আটকে রাখে । খবর পেয়ে আদিতমারী থানা পুলিশ ছেলে কে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।পরবর্তীতে উভয় পক্ষের অভিবাবকগণ বিষয়টি সমাধান হবে মর্মে ছেলে এবং মেয়েকে জিম্মা নিয়ে যায়। পরবর্তীতে উভয় পক্ষের মধ্যে স্থানীয় দেওয়ানী মাতব্বরগণ আপোস মীমাংসার চেষ্টা চালিয়ে যায়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে আলোচনা সাপেক্ষে মেয়ের খুরখোশ ও দেনমোহরের বাবদ ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা চূড়ান্ত করেন। মেয়ের পক্ষে স্থানীয় এক দালাল ফজলুল হক মেয়ে কে কালীগঞ্জে এক কাজী অফিসে নিয়ে যায়। ছেলে বাড়ী লোকজন কাজী অফিসে উপস্থিতি হয়ে মেয়ে পক্ষের দেওয়ানি ফজলু হকের কাছে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা বুঝিয়ে দিয়ে মেয়েকে দিয়ে তালাকনামার স্বাক্ষর করে নেয় দালাল ফজলুল হক। এই ঘটনার সাথে জড়িত কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা ইউনিয়নের ২ জন ইউপি সদস্য। উক্ত বিষয়টি মীমাংসার করে দিবে মর্মে ৩০ হাজার টাকা তাদের ২ জন কে দিতে হবে এতে মেয়ের পক্ষে দালাল রাজি হয়ে দেন মোহরানা টাকা হতে চুক্তি অনুযায়ী ২ মাতাব্বর কে ২৮ হাজার টাকা বুঝিয়া দেয় দালাল ফজলুল হক। অতি সুকৌশলে বাকী ৯২ হাজার টাকা মেয়ে কে না দিয়ে বাড়ীতে পাঠিয়ে দেয় ফজলুল হক দেওয়ানী। মেয়ে কে টাকা না দিয়ে এলাকার আরো ৫ দেওয়ানি সাথে নিয়ে টাকা ভাগ বাটোয়ারা করে নেয় ফজলুল হক দেওয়ানী । মাতাব্বরদের মধ্যে হচ্ছে ১। মজনু মিয়া ৮ হাজার টাকা ২। ইউপি সদস্য সুধাংশু বর্মন ৪ হাজার টাকা ৩।মোঃ সাদিকুল ইসলাম রনি ওরফে চশমা রনি (চশমা) কে ২ হাজার টাকা ৪। পারভেজ হাসান ১০ হাজার টাকা ৫। ফজলুল হক দেওয়ানী ফেন্সিডিল খাওয়া বাবদ ২২ হাজার টাকা এবং নগত গ্রহণ করেন ৪৬ হাজার টাকা সর্বমোট ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা বন্টন করে নেয় ফজলুল হক দেওয়ানী । মেয়ে আসমা বেগম আপোষ মীমাংসার দেন মোহরের টাকা না পাওয়ায় ১৩ মে আদিতমারী থানা একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। মাতব্বরদের মধ্যে একজন পারভেজ হাসান অভিযোগের বিষয়ে জানতে পেয়ে ফজলুল হকের কাছ থেকে গ্রহণ করা ১০ হাজার টাকা স্থানীয় লোকজনের উপস্থিতিতে মেয়ের পিতার কাছে ফেরত প্রদান করেন । একজনের টাকা ফেরত দিলেও বাকি মাতব্বরগণ বাটোয়ারা টাকা ফেরত না দিয়ে পুলিশে ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে । অনুসন্ধানে রিপোর্টে জানাযায় ফজলুল হক দেওয়ানী দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন অসহায় গরীব মানুষের কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে । ইতিপূর্বে একাধিকবার এই ধরনের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা এস,আই গোকুল চন্দ্র রায় বলেন অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে । মামলার বাদিনীর পিতা আক্তার হোসেন বলেন আসামি দের মধ্যে একজনের ১০ হাজার টাকা ফেরত দিয়েছে। অন্যান্য অভিযুক্ত ব্যক্তিগণ টাকা ফেরত না দিয়ে পুলিশে ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। টাকা ভাগ বাটোয়ারা করে কে কত টাকা নিয়েছে তিন পৃষ্ঠার তিনটি কাগজ সহ একটি অডিও ক্লিপ এই প্রতিনিধির হাতে পৌঁছেছে। আদিতমারী থানা অফিসার ইনচার্জ ওসি মোজাম্মেল হক অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন আসামিদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।