নিউজ ডেস্ক: তফসিলি ব্যাংকের শাখা অথবা ডাকঘর থেকে আর পাঁচ বছর মেয়াদি সঞ্চয়পত্র কেনা যাবে না। আজ থেকে শুধু জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের আওতাধীন সঞ্চয় ব্যুরো থেকে এই সঞ্চয়পত্র কেনা যাবে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) থেকে মঙ্গলবার এ–সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়েছে।
আদেশে বলা হয়েছে, আজ থেকে কেউ যদি পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র কিনতে চান, তাহলে শুধু সঞ্চয় অধিদপ্তরের শাখা অফিসগুলো থেকে কিনতে পারবেন। সারা দেশে ৭০টির মতো এমন সঞ্চয় ব্যুরো আছে।
তবে জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের বাকি তিনটি সঞ্চয়পত্র—পরিবার সঞ্চয়পত্র, তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র ও পেনশনার সঞ্চয়পত্র নিয়ম অনুযায়ী আগের মতো ব্যাংক ও ডাকঘর থেকে কেনা যাবে।
একজন বিনিয়োগকারী একক নামে সর্বোচ্চ ৩০ লাখ টাকা এবং যুগ্ম নামে সর্বোচ্চ ৬০ লাখ টাকার পাঁচ বছর মেয়াদি সঞ্চয়পত্র কিনতে পারেন। সব শ্রেণি ও পেশার বাংলাদেশি নাগরিক এই সঞ্চয়পত্র কিনতে পারেন। যদিও কোনো প্রতিষ্ঠান যদি এই সঞ্চয়পত্র কেনে, তাহলে কত টাকার সঞ্চয়পত্র কেনা যাবে, এর কোনো সীমা নেই।
এ ছাড়া মৎস্য খামার, হাস-মুরগির খামার, পোলট্রি ফিড উৎপাদন, গবাদিপশুর খামার, দুগ্ধ ও দুগ্ধজাত দ্রব্যের খামার, উদ্যান খামার প্রকল্প, রেশম গুটিপোকা পালনের খামার, ছত্রাক উৎপাদন এবং ফল ও লতা পাতার চাষ থেকে উপার্জিত আয় দিয়ে সঞ্চয়পত্রটি কেনা যাবে। এই সঞ্চয়পত্রের মেয়াদ শেষে মুনাফা নিতে চাইলে মুনাফার হার দাঁড়াবে ১১.২৮ শতাংশ। তবে মেয়াদপূর্তির আগে নগদায়ন করলে প্রথম বছর শেষে ৯.৩৫ শতাংশ, দ্বিতীয় বছর শেষে ৯.৮০ শতাংশ, তৃতীয় বছর শেষে ১০.২৫ শতাংশ, চতুর্থ বছর শেষে ১০.৭৫ শতাংশ হারে মুনাফা পাওয়া যাবে।