নিউজ ডেস্ক: দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে মা-ছেলেকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে সিআইডির এক এএসপিসহ চার কর্মকর্তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনতা। মা-ছেলেসহ আটকদের দিনাজপুর ডিবি কার্যালয়ে রাখা হয়েছে।
স্বজনরা জানায়, গত সোমবার (২৩ আগস্ট) রাতে চিরিরবন্দরে জোহরা বেগম ও ছেলে জাহাঙ্গীর আলমকে মোটরসাইকেল ও মাইক্রোবাসে করে তুলে নিয়ে যায় অস্ত্রধারী দুর্বৃত্তরা। বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ও র্যাবকে জানানো হলে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে পুলিশ।
এরমধ্যেই অপহৃত জোহরা বেগমের মেয়ের জামাই কামরুজ্জামানের মোবাইলে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। গতকাল মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) বিকেল ৫টার দিকে দশমাইল এলাকায় সন্দেহজনক একটি মাইক্রোবাসকে ঘোরাফেরা করতে দেখে আটক করে স্থানীয় জনতা।
আটক ব্যক্তিদের পুলিশে সোর্পদ করেন তারা। পরে জানা যায় অপহরণকারীরা পুলিশের সিআইডির এএসপি সারোয়ার কবীর, এএসআই হাসিনুর রহমান ও কনস্টেবল আহসানুল ফারুক ও একজন মাইক্রোবাস চালক।
এ ব্যাপারে রংপুর সিআইডির ও চিরিরবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সত্যতা স্বীকার করেন।
অপহরণকারীদের এক স্বজন বলেন, অপহরণকারীরা মোবাইলে মুক্তিপণের ১৫ লাখ টাকা চায়। তারপরে যখন বলা হলো- এত টাকা দিতে পারব না, তখন বলল- তাহলে কমিয়ে দেন। শেষে ১০ লাখ টাকা দাবি করা হয়। তারা কখনো ডিবি আবার কখনো সিআইডি পরিচয় দিয়েছে।
রংপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতাউর রহমান বলেন, অভিযুক্তরা আমার আদেশ না নিয়ে এবং আমাকে না জানিয়ে তাদেরকে ওই জায়গায় নিয়ে গেছে।
আটক এএসপি সারোয়ার কবীর, এএসআই হাসিনুর রহমান ও কনস্টেবল আহসানুল ফারুক রংপুর সিআইডিতে কর্মরত।