(কাজী আনিসুর রহমান, এসপিও/ব্যবস্থাপক, টেকেরহাট শাখা, মাদারীপুর)
অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড বাংলাদেশের একটি স্বনামধন্য রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বানিজ্যিক ব্যাংক। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের “হাবিব ব্যাংক লিমিটেড ও কমার্স ব্যাংক লিমিটেড” কে একীভূত করে স্বাধীনতার পরবর্তীতে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ্য বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি ব্যাংকে রূপান্তর করেন এবং নাম করন করেন অগ্রণী ব্যাংক। জন্মলগ্ন থেকেই এ ব্যাংকটি কৃষিঋণ বিতরন, শিল্প ও ব্যবসায়ে ঋন বিতরন, আমদানী-রপ্তানী ব্যবসার ক্ষেত্রে এলসি সংক্রান্ত কার্যসম্পাদন, বয়স্কভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, শিশু ভাতা, মুক্তিযোদ্ধাভাতা, বৈদেশিক রেমিট্যান্স, সেনাপেনশন ও শিক্ষক বেতন পরিশোধসহ বিভিন্ন আর্থিক সেবা প্রদান করে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে করোনাকালীন সময়েও এই ব্যাংকটির চেয়ারম্যান মহোদয়, পরিচালকবৃন্দ এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মহোদয়ের সুযোগ্য নেতৃত্বে নির্বাহী মহোদয়গন, কর্মকতা-কর্মচারীবৃন্দ সর্বোচ্চ ঝুঁকি নিয়ে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে দেশের মানুষকে নিরলসভাবে আর্থিক সেবা প্রদান করে যাচ্ছে। করোনার মতো বৈশি^ক মহামারির সময়েও সর্বোচ্চ বৈদেশিক রেমিট্যান্স আহরন, পদ্মা সেতু নির্মানের ক্ষেত্রে অর্থায়ন বা ডলার সরবরাহ, অচঅ রেটিং এ প্রথম স্থান অর্জন ইত্যাদি বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্রণী ব্যাংক সফলতার পরিচয় দিচ্ছে। এই ব্যাংকটির প্রতি সম্মানিত গ্রাহকদের অপরিসীম ভালোবাসা ও অগাধ বিশ্বাসের কারনেই সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটির আমানত একলক্ষ কোটি টাকার মাইলফলক অতিক্রম করেছে।
সম্মানিত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মহোদয় এর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা মাদার অব হিউম্যানিটি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ঘোষিত করোনার কারনে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ও ব্যবসায়ীদের মাঝে প্রনোদনা ঋণ বিতরনের ক্ষেত্রেও ব্যাংকটি দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে। পূর্বেও অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডের সম্মানিত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মহোদয়, ডাইনামিক ও উদ্ভাবনী ব্যাংকার জনাব মোহম্মদ শামস্-উল ইসলাম স্যার অনন্য সফলতার নজির স্থাপন করেছেন। বঙ্গবন্ধুর প্রতি অগাধ ভালোবাসা, শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতাস্বরূপ তিনি অগ্রণী ব্যাংকে প্রতিষ্ঠা করেছেন “বঙ্গবন্ধু কর্নার”। যেখানে স্থাপন করা হয়েছে ১০০ কেজি ওজনের ব্রোঞ্জ দিয়ে নির্মিত বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ ভাস্কর্য। বঙ্গবন্ধু কর্নারে রয়েছে বঙ্গবন্ধুর উপর লেখা বইয়ের সংগ্রহশালা, কবিতা ও গানের সিডি এবং বঙ্গবন্ধুর উপর গবেষনা করার ব্যবস্থা। সম্মানিত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মহোদয়ের প্রতিষ্ঠিত এই বঙ্গবন্ধু কর্নারকে ইতোমধ্যেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী “ইনোভেটিভ আইডিয়া” হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন এবং সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে “বঙ্গবন্ধু কর্নার” স্থাপনের নির্দেশনা দিয়েছেন।
অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড এর আমানত একলক্ষ কোটি টাকার মাইলফলক অতিক্রম করায় ব্যাংকটির সকল শাখার মতো ফরিদপুর সার্কেলের অন্তর্গত মাদারীপুর অঞ্চলাধীণ টেকেরহাট শাখার পক্ষ থেকে সম্মানিত গ্রাহকদের মাঝে মিষ্টি বিতরন করা হয়। এ সময় কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে যে সকল নির্বাহী মহোদয় এবং কর্মকতা-কর্মচারীবৃন্দ মৃত্যু বরন করেছেন তাদের সবার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। তাছড়া যারা আক্রান্ত হয়েছিলেন এবং বর্তমানে আক্রান্ত অবস্থায় আছেন তাদের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করা হয়। ভবিষ্যতেও অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড যেন তাদের এই সাফল্য ধরে রাখতে পারে তার জন্য উপস্থিত গ্রাহকবৃন্দ দোয়া ও শুভকামনা জানিয়েছেন। ব্যাংকটির সম্মানিত চেয়ারম্যান মহোদয় জনাব ড. জায়েদ বখত স্যার; সম্মানিত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মহোদয়, ডাইনামিক ও উদ্ভাবনী ব্যাংকার জনাব মোহম্মদ শামস্-উল ইসলাম স্যার এবং সম্মানিত পরিচালক মহোদয়গন এর সুযোগ্য নেতৃত্বে দেশ ও জাতির সেবায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড এর এই অগ্রযাত্রা অটুট ও অব্যাহত থাকুক। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ্য বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মানে অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড এভাবেই কাজ করুক নিরলসভাবে – এটাই সবার প্রত্যাশা।