নিউজ ডেস্ক: আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে তিনজন আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একইসঙ্গে আজ সন্ধ্যার মধ্যেই শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আজ শনিবার সকাল ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
মারধরের ঘটনায় আহতরা হয়েছেন ছাত্রলীগ কর্মী মাহফুজুল হক (২৩), নাইমুল ইসলাম (২০) এবং আকিব হোসেন (২০)। তাদের ৩ জনই চমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন আছেন।
জানা যায়, গতকাল রাত সাড়ে ১১টার দিকে মেডিকেলের প্রধান ছাত্রাবাসে সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী ছাত্রলীগ কর্মীদের শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর অনুসারী কর্মীরা মারধর করেছে বলে অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনার জের ধরে আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ক্যাম্পাসে মহিবুল হাসানের অনুসারী এক ছাত্রলীগ কর্মীকে মারধর করা হয়। এর পর থেকেই ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এ ঘটনায় হাসপাতাল, কলেজ ক্যাম্পাস এবং প্রধান ছাত্র হোস্টেল জুড়ে থমথমে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এ ব্যাপারে পাঁচলাইশ থানার পরিদর্শক সাদিকুর রহমান (তদন্ত) গণমাধ্যমকে বলেন, রাতে ছাত্রাবাসে সমস্যা হয়। ওই ঘটনার জের ধরে আজ কলেজের সামনে ফুটপাতে অন্য পক্ষের একজনকে মারধর করা হয়। এখন দুই পক্ষ ক্যাম্পাসে অবস্থান করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য ক্যাম্পাসে পুলিশের অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন রয়েছে।
চকেমের অধ্যক্ষ সাহেনা আকতার জানান, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে একাডেমিক কাউন্সিলের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। আজকের মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি এ ঘটনা তদন্তে অধ্যাপক মতিউর রহমানকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।