বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:৫১ পূর্বাহ্ন
নোটিশ
যে সব জেলা, উপজেলায় প্রতিনিধি নেই সেখানে প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। বায়োডাটা সহ নিউজ পাঠান। Email: newssonarbangla@gmail.com

সোনালী ব্যাংকের সাবেক এমডিসহ ৮ জনের কারাদণ্ড

Reporter Name
Update : বৃহস্পতিবার, ২০ জুলাই, ২০২৩, ৬:১৪ অপরাহ্ন

সোনালী ব্যাংকের টাকা জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাতের দায়ে ব্যাংকটির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) ৮ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

ঢাকার বিশেষ দায়রা জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. ইকবাল হোসেনের আদালত বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) এ রায় দেন।দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, ব্যাংকের সাবেক এমডি হুমায়ুন কবির, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) মাইনুল হক, জি এম ননী গোপাল নাথ, এজিএম সাইফুল হাসান ও কামরুল হোসেন খান, ডিজিএম সফিজ উদ্দিন আহমেদ, প্যারাগন প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেডের এমডি সাইফুল ইসলাম রাজা ও পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন।

 
এদের মধ্যে হুমায়ন কবির, ননী গোপাল, সাইফুল ইসলাম রাজা, সাইফুল হাসান ও আব্দুল্লাহ আল মামুনকে আলাদা দুই ধারায় ১৭ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
 
অর্থ আত্মসাতের দায়ে প্রত্যেককে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং দুই কোটি ১৬ লাখ ৪৮ হাজার ১০৩ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। যা প্রত্যেকের কাছ থেকে সমহারে রাষ্ট্রের অনুকূলে আদায়যোগ্য হবে। এছাড়া প্রতারণার দায়ে তাদের আরও সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও তিন মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে আসামি সফিজ উদ্দিন, কামরুল হোসেন ও মাইনুল হককে অর্থ আত্মসাতের দায়ে ৫ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড এবং দুই কোটি ১৬ লাখ ৪৮ হাজার ১০৩ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। যা প্রত্যেকের কাছ থেকে সমহারে রাষ্ট্রের অনুকূলে আদায়যোগ্য হবে। এছাড়া প্রতারণার দায়ে তাদের আরও তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও তিন মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আসামি ডিজিএম আলতাফ হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
 
দণ্ডিত তিন আসামি মাইনুল হক, সফিজ উদ্দিন ও কামরুল হোসেনকে এদিন কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে আবারও তাদের কারাগারে নেয়া হয়। দণ্ডিত অন্য ৫ আসামি পলাতক। আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতার পরোয়ানা জারি করেছেন।
 
দুই কোটি ১৬ লাখ ৪৮ হাজার ১০৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১৩ সালের ১ জানুয়ারি রমনা মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন দুদকের সহকারি পরিচালক এরামুল হক চৌধুরী। মামলাটি তদন্ত করে ২০১৪ সালের ২২ মে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক এস এম এম আখতার হামিদ। ২০১৫ সালের ৬ এপ্রিল আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরু করেন আদালত।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Theme Created By Uttoron Host