মাসুদুজ্জামান লিটন, ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি : উপরে ফিটফাট ভিতরে সদরঘাট হ্যা শৈলকুপার প্রাঃ হাসপাতাল গুলোর কথা বলছি। শুধু একটি দুটি নয় উপজেলার কোন ক্লিনিকেই সার্বক্ষনিক ডাক্তার থাকেনা, থাকে কাগজে কলমে। ২৬ জুন শনিবার সকালে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের অবহেলায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগ উঠে। প্রভাবশালী মালিকপক্ষ তাৎক্ষনিক ভুক্তভোগী পরিবারের সাথে ১ লাখ টাকায় রফা করেছে বলে জানা গেছে। মর্মান্তিক এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে সাংবাদিক পুলিশ রাজনৈতিক নেতাসহ ঘাটে ঘাটে দেদারছে টাকা উড়ানোর খবর ছড়িয়ে পড়েছে। নিহতের স্বজনেরা জানায়, পৌরসভার বাজারপাড়া গ্রামের রিপন হোসেনের প্রসূতি স্ত্রী বিউটি খাতুন (২৪) হটাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে ভোরে শৈলকুপা হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানে পূর্ব থেকে ওৎপেতে থাকা দালাল হাসপাতালে ডাক্তার নেই এমন গল্প করে রোগীর পরিবারকে ভুলভাল বুঝিয়ে শৈলকুপার একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করে। বিউটি ভোর থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত প্রসব বেদনায় ছটফট করলেও ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ তাকে প্রয়োজনীয় সেবা দিতে পারেনি। এমনকি ডাক্তার নিয়ে আসার কথা বলে দীর্ঘসময় ধরে রাখে, ৩ ঘন্টার মধ্যেও কোন ডাক্তার আসেনি সেবা দিতে। এক পর্যায়ে ক্লিনিকের বেডেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে ১ পুত্র সন্তানের জননী বিউটি খাতুন। প্রকৃত ঘটনা আড়াল করতে পুলিশ, সাংবাদিক, রাজনৈতিক নেতা ম্যানেজ করতেই টাকার বস্তা খুলে দেয় মালিকপক্ষ। ভোক্তভোগী পরিবারের নিকট থেকে লিখিত অভিযোগ না পাওয়ার অজুহাতে এ যাত্রায় রক্ষা পেয়েছে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। শৈলকুপা হাসপাতালের প্রধান গেটের সামনেই গড়ে উঠেছে আধুনিক মানের বিশাল এ ক্লিনিকটি। দেখে বোঝার উপায় নেই যে, এখানে সেবার মান শুন্যের কোটায়। আলীশান ডেকোরেশনসহ সবকিছু থাকলেও শুধু নেই সার্বক্ষনিক ডাক্তার, ডিপ্লোমা নার্স। এমনি চিত্র প্রতিটা ক্লিনিকের, তবে সবগুলো ক্লিনিকের খাতা কলম চকচকে। জেলা সিভিল সার্জনের একটি চক্রের সহযোগিতায় শৈলকুপায় এ অপকর্ম চলছে দীর্ঘদিন ধরেই। এ ব্যাপারে শৈলকুপা থানার তদন্ত ওসি মহসীন আলী জানান রোগীর পরিবার থেকে কোন লিখিত অভিযোগ করা হয়নি। অন্যদিকে যৌথমালিকানায় গড়ে ওঠা একাধিক ক্লিনিক মালিকের সাথে মোবাইলে বহুবার ফোন করলেই কেউ রিসিভ করেন নাই। উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা রাশেদ আল মামুন জানান, স্থানীয় একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট থাকায় দালাল দৌরাত্ব রোধ করা দিনদিন কঠিন হয়ে পড়েছে। তবে হাসপাতাল চত্বর থেকে কোন রোগীকে ভুলভাল বুঝিয়ে কেউ নিয়ে গেলে তাদের কিছু করার থাকেনা। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার থেকে কোন লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে অবশ্যই তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।